যাত্রী নিরাপত্তার কারণে চার চাকা গাড়িগুলিতে ছ’টি করে এয়ারব্যাগ আবশ্যক করল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চালু হয়ে যাচ্ছে এই নিয়ম। কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ি জানান, গাড়ির দাম যাই হোক না কেন যাত্রীসুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ।
বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, এ দেশে সব গাড়িতে ৬টি করে এয়ারব্যাগ নেই। ৯০ শতাংশ গাড়িতে অনুপস্থিত ৬টি এয়ারব্যাগ। বাকি ১০ শতাংশ গাড়ি সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেগুলি সবই দামি গাড়ি। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির একই গাড়ির আলাদা আলাদা দামের মডেলেও এয়ারব্যাগের সংখ্যার ফারাক রয়েছে। এয়ারব্যাগের উপর নির্ভর করে গাড়ির দামও। কম দামের গাড়িতে এয়ারব্যাগের সংখ্যাও কম থাকে। স্বাভাবিকভাবে এয়ারব্যাগের সংখ্যা বাড়লে গাড়ির দামও বাড়বে। তবে কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আলাদা মডেল বা দামের ফারাক থাকলেও আর এয়ারব্যাগের সংখ্যায় হেরফের করা যাবে না। ন্যূনতম ৬টি এয়ারব্যাগ গাড়িতে থাকা বাধ্যতামূলক। তবে এখনই এই আইন বলবৎ হচ্ছে না। অটোমোবাইল শিল্পকে একবছর সময় দিচ্ছে কেন্দ্র। গডকড়ি টুইট করেছেন,'আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যন্ত্রাংশ সরবরাহের ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে গাড়িশিল্পকে। সে কথা মাথায় রেখে যাত্রিবাহী গাড়িতে ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে ৬টি এয়ারব্যাগ আবশ্যক করা হল।'
গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির। তার পর থেকে যাত্রীসুরক্ষার বিষয়টি শুরু হয় তোলপাড়। সেপ্টেম্বরে সব যাত্রীদের জন্য সিটবেল্ট বাঁধা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। নিয়মভঙ্গ করে উপযুক্ত জরিমানা দিতে হবে।
জানা গিয়েছে, দেশের বেশির ভাগ গাড়িতেই দু'টি করে এয়ারব্যাগ থাকে। চলতি বছর জানুয়ারিতে সব গাড়িতে এয়ারব্যাগ থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বিশ্বে সর্বাধিক। এয়ারব্যাগ থাকলে দুর্ঘটনায় মৃত্যু অনেকাংশে কমবে বলে মনে করেন নিতিন গডকড়ি। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে সব গাড়িতে ছটি এয়ারব্যাগ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিয়েছিল সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক। কিন্তু গাড়িশিল্পের আপত্তিতে তা হয়নি। এবার সময় বাড়িয়ে তা আবশ্যক করা হল। বলে রাখি, সংসদের অধিবেশনে গডকড়ি জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের পরিসংখ্যা অনুযায়ী গাড়িতে ৬টি এয়ারব্যাগ থাকায় ১৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে।
আরও পড়ুন- অক্টোবরে ঢালাও ছুটি ব্যাঙ্কের, ২১ দিন থাকবে বন্ধ, দেখুন তালিকা