পর্নহাবের চ্যানেলকে সরিয়ে দিল ইউটিউব। পর্নহাবের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী,পর্ণহাব ইউটিউবের এক্সটারনাল পলিসি লিঙ্ক লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নগ্নতা এবং পর্নোগ্রাফি, যা YouTube-এ আপলোড করার অনুমতি দেওয়া হয় না৷
ইউটিউবের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে দ্য ভার্জ-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্নহাবের অফিসিয়াল চ্যানেলটি পর্যালোচনার পরে বন্ধ করে দিয়েছে ইউটিউব। সংস্থার নীতি সবার জন্য সমান। যে চ্যানেলগুলি ক্রমাগত নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে সেগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ইউটিউবে চ্যানেল বন্ধ হওয়া পর পর্নহাব জানিয়েছে, তাদের প্রায় ৯ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার ছিল। চ্যানেল থেকে সাধারণ ভিডিও পোস্ট করা হত। ভিডিওগুলিতে বয়সের বিধিনিষেধও আরোপ করা থাকত। অর্থাৎ ভিডিও দেখতে হলে একজনের বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগও খারিজ করে পর্নোগ্রাফি সাইটটি। তাদের মুখপাত্র জানিয়েছে,নেট মাধ্যমের সমস্ত বিধি মেনে চলেছে সংস্থা। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে,এটি YouTube-এর কোনও বিধিনিষেধ সংক্রান্ত নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেনি৷ প্রাপ্তবয়স্ক শিল্পের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।
বলে রাখি, ইউটিউবই একমাত্র প্ল্যাটফর্ম নয় যেখান থেকে পর্নহাব সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এর আগে ইনস্টাগ্রামও পর্নহাবের অ্যাকাউন্ট চিরতরে নিষিদ্ধ করেছে। মেটার ফটো এবং রিল শেয়ারিং অ্যাপে নগ্নতা, প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিও-ছবি পোস্ট করার অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছিল পর্নহাব। ইনস্টাগ্রাম জানিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিও দেখতে ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করত পর্নহাব। তাই চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পর্নহাব অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্রাপ্তবয়স্কদের সাইট। এখানে নির্দিষ্টি সাবক্রিপশন নিয়ে সদস্য হওয়া যায়। সাইটে লগ ইন করলে প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিও দেখা যায়। যা আদতে মানব-মানবীর আদিখেলা।