স্মার্টফোন, ল্যাপটপ থেকে ট্যাবলেট- সব ধরনের যন্ত্রেই ব্যবহার করা যাবে একই ধরনের চার্জার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একই চার্জারের পথে হাঁটছে চলেছে ভারত। ইউনিভার্সাল চার্জার নীতিতে প্রতিবার আলাদা করে চার্জার কেনার দরকার পড়বে না গ্রাহকদের। আগামী দিনে সব স্মার্টযন্ত্রের জন্য একই চার্জার তৈরি করতে হবে নির্মাতা সংস্থাগুলিকে। এর ফলে কমবে ই-বর্জ্যও। এটা অ্যাপেলের জন্য খারাপ খবর বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
বিভিন্ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া একটি টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের পর 'কমন চার্জার' নীতির কথা জানিয়েছেন উপভোক্তা বিষয়ক সচিব রোহিত কুমার সিং। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এনিয়ে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আপাতত ঠিক হয়েছে, ল্যাপটপ, মোবাইল ও ট্যাবলেটের জন্য একই ধরনের চার্জার থাকবে। অল্প দামের বেসিক ফোনগুলির ক্ষেত্রে কী করা হবে, তা এখনও ঠিক করেনি সরকার।
বেশ কয়েক দিন ধরেই সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রের জন্য একই ধরনের চার্জার আবশ্যক করার কথা ভাবছে সরকার। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যে ইউএসবি-টাইপ সি চার্জার ব্যবহৃত হয়, ল্যাপটপ, মোবাইল ও স্মার্টফোনে সেই চার্জার পোর্ট ব্যবহার করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে বিপুল ই-বর্জ্য। প্রতিবছর ৫ মিলিয়ন টন ই-বর্জ্য তৈরি হচ্ছে এ দেশে। যা চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।
বলে রাখি,গত মাসে একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২৪ সালের মধ্যে সব ফোনের ক্ষেত্রে ইউএসবি-টাইপ সি চার্জার পোর্ট বাধ্যতামূলক করার কথা জানিয়ে দিয়েছে তারা। ৪ অক্টোবর ইইউ সংসদে পেশ হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে,সব ফোনের জন্যই একই ধরনের চার্জার ব্যবহার করতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ২৭টি দেশে। ফোনের পাশাপাশি ১৩ ধরনের যন্ত্র রয়েছে এই তালিকায়। ভারতে এই সিদ্ধান্তের ফলে ধাক্কা খেতে চলেছে আইফোন নির্মাতা সংস্থা অ্যাপলের উপর। কারণ নিয়ম কার্যকর হলে তাঁদের একাধিক ফোনের পোর্টে বদল আনতে হবে। লাভ হবে গ্রাহকদের। ফোন বদল করলেও চার্জার কেনার ঝক্কি থাকবে না। বা হারিয়ে গেলে বাড়ির লোকের চার্জার ব্যবহার করা যাবে। এমনকি চার্জার সঙ্গে না নিয়ে বেরালেও চার্জ দিতে সমস্যা হবে না। তবে কবে থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে ভারতে তা এখনও জানায়নি কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- দীর্ঘদিন ঘরে যৌবন থাকে জাপানিদের, ডায়েটে থাকে এই বাঙালি খাবার