অনেকেই এই বিষয়টি জানেন না। বা জেনেও স্মার্টফোন কেনার সময় পাত্তা দেন না। কত RAM, কত মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ইত্যাদি বিষয়গুলিতেই ফোকাস থাকে। দোকানদার বা কোম্পানিগুলিও এই বিষয়টি নিয়ে বিশেষ মুখ খোলেন না। বিষয়টি আমার, আপনার স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
শরীরে সরাসরি প্রভাব ফেলে
যে স্মার্টফোনটি আপনি কিনছেন, তা গ্রাহকের শরীরে কতটা ক্ষতি করবে, তা জানা যায় একটি কোড দেখেই। তা হল SAR (Specific Absorption Rate) ভ্যালু। অর্থাত্ ফোনটি থেকে নির্গত রেডিয়েশন কতটা মারাত্মক। শরীরে তার কতটা প্রভাব পড়বে, তা-ই বোঝা যায় SAR ভ্যালু বা কোড থেকে। সোজা কথায়, ফোনটি থেকে নির্গত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি কতটা আমাদের শরীর নিচ্ছে, তার হদিশ।
মোবাইল ব্র্যান্ডগুলি এই SAR ভ্যালু নিয়ে খুব কম চর্চা করে। প্রায় করে না বললেই চলে। সচেতন ভাবেই এড়িয়ে যায়।
SAR ভ্যালু কী?
কোনও ডিভাইস থেকে নির্গত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি, যা আমাদের শরীরে ঢোকে, তাকে SAR-এ মাপা হয়। অর্থাত্ ফোনের SAR ভ্যালু জানিয়ে দেয়, ফোনটি ইউজ করার সময় কতটা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আপনার শরীরে ঢুকবে। ভারতে মোবাইলের SAR ভ্যালু ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন 1.6W/Kg রেখেছে।
কীভাবে চেক করে SAR ভ্যালু?
ফোনের SAR ভ্যালু চেক করার একাধিক উপায় রয়েছে। ফোনের বাক্সে থাকা ম্যানুয়ালে চেক করতে পারেন। না হলে ফোনে *#07# টাইপ করুন। টাইপ করতেই ফোনটির SAR ভ্যালু চলে আসবে।