সপ্তাহের প্রথম ৫ দিন প্রচণ্ড চাপ নিয়ে, নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করার পর যখন সপ্তাহান্তে পর পর ২ দিন ছুটি পাওয়া যায়, তখন আগের পাঁচ দিনে পরিশ্রম অনায়াসেই ভুলে যাওয়া যায়। বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনে সপ্তাহে ২ দিন ছুটি পাওয়া কর্মীদের কাছে বিরাট স্বস্তির বিষয়।
দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী সপ্তাহে মাত্র একদিনের ছুটিতে (৬ দিন কাজ, একদিন ছুটি) সারা সপ্তাহ কাজ করেন। কেউ আবার সপ্তাহে দেড় দিনের ছুটি পান। অনেক সংস্থাই এখনও ২ দিন ছুটি দেওয়ার পক্ষপাতি নয়।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যদি প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন ছুটি পাওয়া যায়, তাহলে তা ‘হাতে চাঁদ পাওয়া’র মতোই ঘটনা! অনেক দেশেই এখন সপ্তাহে চারদিন কাজ আর তিনদিন ছুটির সূত্র ধরে কাজ করা হচ্ছে।
এই পর্বে, এখন ব্রিটেনও Four Day Work Week ক্লাবে যোগ দিয়েছে। এখানকার কোম্পানিগুলো সপ্তাহে চারদিন কাজ ও তিনদিন ছুটির ফর্মুলা বাস্তবায়িত করেছে। এর মধ্যে ব্যাঙ্কিং, হসপিটালিটির মতো সেক্টরের প্রায় ৭০টি কোম্পানি রয়েছে।
স্পেন, আইসল্যান্ড, আমেরিকা এবং কানাডার পর এখন ব্রিটেনের মানুষও সপ্তাহের বাকি চার দিন কাজ এবং বিশ্রাম পাবেন। কাজ আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
১ জুন থেকে ব্রিটেনের ৭০টি কোম্পানিতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই ব্যবস্থার ‘ট্রায়াল রান’ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, অগাস্ট থেকে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডেও এই Four Day Work Week ব্যবস্থার ট্রায়াল শুরু হবে।
জানা গিয়েছে, এই ট্রায়াল ব্রিটেনে ছয় মাস ধরে চলবে। এই ৬ মাসে কোম্পানিগুলি তাদের কর্মীদের সপ্তাহে চার দিন (সর্বোচ্চ ৩২ ঘন্টা) কাজ করতে বলবে। প্রতি সপ্তাহে তিন দিন ছুটিও পাবেন কর্মীরা।
এই ট্রায়ালে ব্রিটেনে তিন হাজার কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই Four Day Work Week পাইলট প্রকল্প চলাকালীন কর্মীদের মাসিক বেতনও অপরিবর্তিত থাকবে। আগের নিয়মেই মিলবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। এর পর কর্মীদের উৎপাদনশীলতার তুলনামূলক পরিমাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।