চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার নতুন স্ট্রেন আগের তুলনায় অনেক বেশি সক্রামক! অধিকাংশ আক্রান্তের ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গ না থাকায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অনেকের মধ্যে।
দেশে প্রতিদিন ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। পশ্চিমবঙ্গেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! রাজ্য সরকারের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯,৮১৯ জন।
পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৭৮,১৭২। একদিন মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। যার জেরে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০,৬৫২। এই পরিস্থিতিতে করোনা টিকার পর্যাপ্ত জোগান অন্যতম শর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেশে যখন হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের চিন্তা বাড়াচ্ছে ভ্যাকসিনের ব্যাপক অপচয়! গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশজুড়ে নষ্ট হয়েছে করোনা টিকার ৪৪ লক্ষ ডোজ!
ভ্যাকসিনের অপচয়ের শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ু। সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ভ্যাকসিনের ডোজ নষ্ট হয়েছে তামিলনাড়ু এবং হরিয়ানায়। তামিলনাড়ুতে টিকার ১২ শতাংশ ডোজ নষ্ট হয়েছে। হরিয়ানায় নষ্ট হয়েছে ৯ শতাংশ ডোজ।
রাইট টু ইনফরমেশন (RTI) আইনে সমাজকর্মী বিবেক পান্ডের দায়ের করা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে এই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যথেষ্ট সতর্কতা ও যত্নের অভাবেই এই বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে বলে মত কেন্দ্রের।
তামিলনাড়ু এবং হরিয়ানার পর ভ্যাকসিনের অপচয়ের নিরিখে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে পাঞ্জাব, মণিপুর ও তেলেঙ্গানা। প্রত্যেক রাজ্যে প্রায় ৮ শতাংশ ভ্যাকসিনের ডোজ নষ্ট হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে দেশে করোনার টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে মহারাষ্ট্রে। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই রাজ্যে ৩ শতাংশ ভ্যাকসিনের ডোজ নষ্ট হয়েছে।
কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে ৫ শতাংশের বেশি এবং গুজরাতে প্রায় ৪ শতাংশ ভ্যাকসিনের ডোজ নষ্ট হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রমী পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল। এই দুই রাজ্যে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিনের ডোজ নষ্ট হয়নি।