বাংলার গৃহবধূদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে চালু হচ্ছে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্প। ভোটের আগেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়নে গতি আনতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের গৃহবধূদের আর্থিক ভাবে সহায়তা করতে চালু হচ্ছে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্প। এই 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার গৃহবধূরা রাজ্য সরকারের থেকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের তফশিলি জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মহিলারা মাসে ১০০০ টাকার আর্থিক সাহায্য পাবেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ফর্ম ফিল আপ চলছে রাজ্যজুড়ে। দুয়ারে সরকার শিবিরগুলির সামনে লম্বা লাইন পড়েছে। নাম নথিভুক্তির বিচারে রীতিমতো রেকর্ড গড়ল 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্প।
এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে মাত্র ৮ দিনে প্রায় ৬০ লক্ষ আবেদন জমা পড়ল। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে চলা দুয়ারে সরকার শিবিরগুলিতে মোট রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা মঙ্গলবার সন্ধে ৭টা পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার।
দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে অন্য সমস্ত প্রকল্পকে পিছনে ফেলে দিয়ে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য। গত আট দিনে দুয়ারে সরকার শিবিরগুলিতে জমা পড়া আবেদনের ৬০ শতাংশেরও বেশি লক্ষ্মীর ভান্ডার'-এর জন্য।
প্রতিটি শিবিরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা, আশাকর্মী, কন্যাশ্রী পাওয়া ছাত্রীদের কাজে লাগানো হবে। বিভিন্ন পরিষেবার ফর্ম পূরণে আবেদনকারীদের সাহায্য করবেন তাঁরা।
'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্পের জন্য আবেদনের চাপ সামলাতে বাড়ানো হয়েছে ক্যাম্পের সংখ্যাও। মঙ্গলবারই মোট ২,২০৪টি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। ক্যাম্পের বাইরে লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে করোনা-বিধি মানার বিষয়েও জোর দেওয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফে।