নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (NKDA) সোমবার এখানকার হকারদের জন্য ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’-এর সুবিধা চালু করেছে। ইলেকট্রিক বাসের মাধ্যমে এই পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে তাঁদের ঘরের কাছে।
নিউটাউনের দু’টি বাজার এলাকায় ঘুরে এই টিকাকরণ চালাবে নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (NKDA)। NKDA সূত্রে খবর, সোমবার AD ব্লকের বাজারের ব্যবসায়ীদের টিকা দেওয়া হয়েছে। এর পর DLF চত্বরের খাবারের স্টল এবং অন্যান্য হকারদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
NKDA সূত্রে খবর, সোমবার মোট ৪৪ জন হকারকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনের কর্মসূচিতে সংখ্যাটা খানিকটা কম হলেও ভবিষ্যতে ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ উদ্যোগে করোনার টিকা প্রাপকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ উদ্যোগ সম্পর্কে এলাকার মানুষকে অবহিত করতে প্রচার বাড়ানো পরিকল্পনা রয়েছে নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (NKDA) কর্তৃপক্ষের। ফলে ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসবে বলে আশা NKDA কর্তৃপক্ষের।
এ দিকে করোনার টিকাকরণের ক্ষেত্রে Vaccine On Call পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে রেজিস্ট্রেশন নম্বর বললেই পুরসভা স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল পৌঁছে যাবে প্রাপকের বাড়িতে!
তবে Vaccine On Call পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত রয়েছে। কলকাতা পুরসভার এই বিশেষ পরিষেবাটি সকলের জন্য নয়। ষাটোর্দ্ধ প্রবীণ এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্যই এই বিশেষ পরিষেবা দিতে চায় কলকাতা পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত অনেক ষাটোর্দ্ধ প্রবীণ মানুষ এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা পুরসভার টিকাকরণ কেন্দ্রে এসে করোনার টিকা নেননি। এই মানুষগুলির সমস্যার কথা ভেবেই Vaccine On Call পরিষেবা চালুর কথা ভাবছে কলকাতা পুরসভা।
কবে থেকে চালু হবে এই Vaccine On Call পরিষেবা? এর উত্তরে পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, রাজ্যে এখনও টিকার আকাল রয়েছে। দৈনিক ৫০ হাজারের পরিকাঠামো তৈরি করেও সবাইকে টিকা দেওয়া যাচ্ছে না। যতক্ষণ না পর্যাপ্ত টিকা এসে পৌঁছচ্ছে, ততদিন এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।