ফের বাড়তে শুরু করেছে দেশের করোনা সংক্রমণ! বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লক্ষেরও বেশি মানুষ। ভারতে পর পর চারদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে এখনও দেশের একটা বড় অংশেরই করোনার টিকা নেওয়া হয়নি। জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনার টিকাকরণ পর্ব শুরু হলেও অধিকাংশ মানুষই এখনও টিকা পাননি।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার নতুন স্ট্রেন আগের তুলনায় অনেক বেশি সক্রামক! অধিকাংশ আক্রান্তের ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গ না থাকায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অনেকের মধ্যে। তবে হোম আইসোলেশনে নিয়ম মেনে সুস্থ হচ্ছেন অনেকেই।
আর ১৪ দিন নয়! করোনার মৃদু উপসর্গ থাকলে নতুন নিয়মে এখন ১৭ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে আপনাকে। রবিবার এই সংক্রান্ত আদর্শ নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ৫০ বছরের কম বয়সিরাই করোনার মৃদু উপসর্গ থাকলে হোম আইসোলেশন বা বাড়িতে থাকতে পারবেন। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার ১৭ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকতে হবে।
তবে নয়া নিয়মে হোম আইসোলেশন থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে একটি শর্ত রেখেছে স্বাস্থ্য দফতর। শর্তটি হল, যদি আইসোলেশন পর্বের শেষ দশ দিনেও করোনার উপসর্গ একই রকম থাকে, সে ক্ষেত্রে ফের কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে।
নয়া নিয়মে দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই মিলবে আইসোলেশন থেকে মুক্তি। তবে আইসোলেশন পর্বের শেষ দশ দিনে যদি করোনার কোনও রকম উপসর্গ না থাকে, সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে আইসোলেশন থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
আইসোলেশনের নতুন নিয়ম না হয় জানা গেল। কিন্তু ১৭ দিনের হিসাব করবেন কী করে? এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ (মেডিসিন) চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার ২ দিন আগে থেকে ১৭ দিনের হিসাব শুরু করতে হবে।”
কিন্তু যাঁদের করোনার কোনও রকম উপসর্গ নেই, তাঁরা আইসোলেশনের ১৭ দিনের হিসাব করবেন কী করে? ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “উপসর্গ নেই এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার দিন থেকে ১৭ দিনের হিসাব শুরু করতে হবে।”