ইলিশ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেও কৌশল বাংলাদেশের ! তাদের পদক্ষেপে অন্তত সে কথাই মনে হচ্ছে। কারণ যে সময়ের মধ্যে ঢালাও ইলিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার, তার মধ্যে কার্যত ওই ইলিশ আমদানি সম্ভবই নয়।
ফলে ইলিশের ঘোষণা করেও যাতে ইলিশ না পাওয়া যায়, তার জন্যই কি জেনে-বুঝে এমন পদক্ষেপ করল সেদেশের সরকার ! ফলে এ নিয়ে যদি দুদেশের মধ্যে রেষারেষি কিংবা শত্রুতা বাড়ে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
দুর্গাপুজোর উপহার হিসেবে এপার বাংলায় প্রথমে ২০৮০ টন ইলিশ পাঠানোর কথা বলেছিল বাংলাদেশ। সেই মতো মাছ ঢুকতেও শুরু করেছে এ বাংলায়।
বৃহস্পতিবারই হাওড়ার পাইকারি বাজারে আসে ৮০ টন মাছ। আরও মাছ এ দেশে ঢোকার অপেক্ষায় বোঝাই হয়ে রয়েছে। সীমান্ত পার করে শুক্রবারও আরও ইলিশ ঢুকেছে। সব জায়গায় ফিল গুড আবহাওয়া।
তার মধ্য়েই নতুন করে আরও ইলিশ পাঠানোর কথা ঘোষণা করে দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে খুশি হওয়ার কথা। ইলিশ নিয়ে মাতামাতির মাঝেই শঙ্কার রেখা দেখা দিল বাংলাদেশের কঠিন শর্ত আরোপে। ইলিশ দিলেও নিতে পারা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। আদৌ ওই বিপুল ইলিশ নেওয়াই যাবে না।
বাংলাদেশের তরফে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়, পূর্ব ঘোষিত ২০৮০ টন ছাড়া আরও ২৫২০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রফতানি করা হবে। তবে এই মাছ রফতানি করা যাবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। আগে এই মাছ রফতানির সময়সীমা ছিল ১০ অক্টোবর। পূর্ব নির্ধারিত মেয়াদ এক সপ্তাহ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। আর এতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ মাছ ব্যবসায়ীদের। কারণ এত কম সময়ে এই মাছ আমদানি করা প্রায় অসম্ভব।
বাংলাদেশ ৪ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। সে কারণেই হয়তো ৩ অক্টোবরের পর ইলিশ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত ভারতে ইলিশ পাঠানোপ সিদ্ধান্তের উল্টো। ফলে অযথা ঘোষণা করে কি লাভ হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ভারতীয় মাছ আমদানিকারীরা।
সাত দিন কমে যাওয়া মানে আমদানিতে সাত-আটশো টন ইলিশ কম আনা সম্ভব হবে। ফলে ইলিশ বাড়তি তো পবটেই আগের ঘোষিত ইলিশটুকুই আনা সম্ভব হবে কি না তা নিয়েই ঘোর সন্দেহ। ফলে আশা জাগিয়েও অতটা ইলিশ হয়তো রাজ্যের সব বাজার পর্যন্ত নাও পৌঁছতে পারে।