মাস খানেক জোগানের অভাবে সেই পেঁয়াজই কেজিতে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। লকডাউনের আগেও একটা সময় এ রাজ্যে ১৫০ টাকায় পৌঁছেছিল প্রতি কেজি পেঁয়াজের দর। সে সময় অবশ্য দেশজুড়েই বেড়েছিল পেঁয়াজের দাম। সেই আতঙ্ক ফের তাজা হতে শুরু করেছিল বঙ্গে।
তবে বর্ধমানের কাটোয়া-সহ বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ‘সুখ সাগর’ পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় ফের দাম কমতে শুরু করেছে। বাংলায় উৎপাদিত আর মহারাষ্ট্রের নাসিকের পেঁয়াজের দাম কয়েকদিন যাবৎ কমছে।
পেঁয়াজের দাম কমার প্রবনতা এখন বজায় থাকবে বলেই মনে করছেন কৃষি বিপণন বিশেষজ্ঞরা। দিন কয়েক আগেও নাসিক থেকে আসা পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজিতে ৪০ টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। এখন সেই পেঁয়াজই কেজিতে ২২-২৩ টাকায় নেমে এসেছে।
রাজ্যে উৎপাদিত ‘সুখ সাগর’ পেঁয়াজ, যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকা কেজি ছিল, তা এখন প্রতি কেজি ১৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় খুচরো বাজারে এখন মহারাষ্ট্রের নাসিকের পেঁয়াজের দাম ৪০-৪৫ টাকা কেজি। পাশাপাশি রাজ্যের সুখ সাগর পেঁয়াজের দাম ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
রাজ্যের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর টাস্ক ফোর্সের এক কর্তার কথায়, কিছু দিনের মধ্যে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম ২০-২৫ টাকায় নেমে আসতে পারে।
এ দিকে পেঁয়াজের দাম কমার খবরে মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফুটলেও চিন্তা বেড়েছে চাষিদের। কিছুদিন আগে পর্যন্তও কেজিতে ১৫ টাকার আশপাশে পেঁয়াজের দাম পাচ্ছিলেন চাষিরা, এখন তা ৯ টাকায় নেমে এসেছে।
এ বছর রাজ্যে বাম্পার ফলন হয়েছে পেঁয়াজের! ফলে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমতে পারে বলেই মনে করছেন কৃষি বিপণন বিশেষজ্ঞরা।
আগামী জুন মাস পর্যন্ত স্থানীয় পেঁয়াজ বাজার চাহিদার বেশিরভাগটাই মেটাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে মহারাষ্ট্র থেকে আমদানির প্রয়োজন কমবে।