ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে টাকা জমিয়ে তার উপর পাওয়া সামান্য সুদে একটু একটু করে সঞ্চয় বাড়াতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে টাকা কোথাও বিনিয়োগ করে বাড়তি সুদে খাটানোর ঝুঁকি নিতে চান না অধিকাংশ মধ্যবিত্ত।
লোকসানের ভয়ে বাড়তি সুদের আশা করেন না অধিকাংশ আম জনতা। তবে যদি শোনেন, ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এক বছরে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা রিটার্ন পাওয়া গিয়েছে! অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? না, কোনও চিট ফান্ডের ভুয়ো প্রলোভন নয়। মাত্র এক বছরে ৪,৬০০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে গীতা রিনিউয়েবল এনার্জির শেয়ার!
বিকল্প শক্তির ব্যবহারে বিদ্যুতের উৎপাদনই হল গীতা রিনিউয়েবল এনার্জির মূল কাজ। বিগত এক বছরে এই সংস্থার শেয়ারের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। কেউ যদি এক বছর আগে এই সংস্থার শেয়ারে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে বর্তমানে তিনি ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা রিটার্ন পেতেন!
বিগত এক বছরে এই বিএসই তালিকাভুক্ত স্টকে বিনিয়োগ করা হয়েছে। গীতা রিনিউয়েবল এনার্জির প্রতিটি ইক্যুইটি শেয়ারের দাম ২১৪ থেকে বেড়ে ২৬০ টাকা হয়ে গিয়েছে।
বিগত পাঁচটি ট্রেড সেশনে গীতা রিনিউয়েবল এনার্জির শেয়ারের দাম ২১.৫০ শতাংশ বেড়েছে। শেষ এক মাসে এই সংস্থার শেয়ারের দাম ১৭৫ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোনও বিনিয়োগকারী যদি এক মাস আগে গীতা রিনিউয়েবল এনার্জির শেয়ারে ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতেন, তাহলে এক মাসে ওই টাকার অঙ্ক বেড়ে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা হয়ে যেত!
গীতা রিনিউয়েবল এনার্জির শেয়ারের চাহিদা এখনও ঊর্ধ্বমুখী! কোনও বিনিয়োগকারী যদি মাত্র ৫ দিন আগেও এই সংস্থার শেয়ারে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে এই পাঁচ দিনে তাঁর মূলধন বেড়ে প্রায় ১২,১০০ টাকা হয়ে যেত। তবে যে কোনও বিনিয়োগের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শের পাশাপাশি নিজের বিবেচনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।