দেশজুড়ে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এখন করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। দেশে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের ওপরেই থাকছে।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৭৯ হাজা ২৫৭ জন, প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণে দোসর হাসপাতালে অক্সিজেন আর বেডের আকাল!
এ রাজ্যেও ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের কোভিড বেডের সংখ্যা বাড়ানো হলেও যে হারে প্রতিদিন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে তা যথেষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে ফোনে চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে থেকেই করোনার চিকিৎসা করাচ্ছেন অনেকে।
বাড়িতে থেকে টেলি-মেডিসিন ও অন্যান্য উপায়ে চিকিৎসকের পরামর্শে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। করোনা চিকিৎসার খরচও সে ক্ষেত্রে যে কোনও বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে কম হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাড়িতে থেকে করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কি তাঁরা স্বাস্থ্য বিমার (Health Insurance) টাকা পাবেন?
বাড়িতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সব স্বাস্থ্য বিমার প্ল্যানে টাকা পাওয়া যায় না। তবে স্বস্তির কথা হল যে, করোনার জন্য ‘করোনা কবচ’ বা ‘করোনা রক্ষক’-এর মতো যে বিশেষ স্বাস্থ্য বিমা রয়েছে, তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়িতে থেকে করোনার চিকিৎসা করালেও টাকা পাওয়া যাচ্ছে।
বাড়িতে থেকে করোনার চিকিৎসা করালে বিমা সংস্থাকে কখন জানাতে হবে? এ ক্ষেত্রে করোনার বিশেষ স্বাস্থ্য বিমার (Health Insurance) গ্রাহককে বাড়িতে চিকিৎসা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই জানাতে হবে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর জানালে চলবে না।
বাড়িতে থেকে করোনার চিকিৎসা করালে কীসের টাকা বা কোন কোন ক্ষেত্রে টাকা পাওয়া যাবে? ‘করোনা কবচ’ বা ‘করোনা রক্ষক’-এর মতো যে বিশেষ স্বাস্থ্য বিমা রয়েছে, তাতে প্যাকেজ অনুযায়ী চিকিৎসকের ফি, ওষুধের খরচ, এক্স রে, সিটি স্ক্যান ও অন্যান্য পরীক্ষার টাকা পাওয়া যাবে।
বাড়িতে থেকে করোনার চিকিৎসা করালে বিমার টাকা পেতে বিমা সংস্থাকে কোন কোন নথি দিতে হবে? রোগীকে ICMR অনুমোদিত ল্যাব থেকেই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে ও সেই রিপোর্ট বিমা সংস্থাকে দিতে হবে। এছাড়াও, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন, ওষুধপত্রের বিল বিমা সংস্থার কাছে জমা দিতে হবে।
সব মিলিয়ে উল্লেখিত বিষয়গুলি খেয়াল রাখলে বাড়িতে থেকে করোনার চিকিৎসা করালেও বিমার টাকা অনায়াসেই পেতে পারেন বিমাকারী।