দেশজুড়ে করোনার গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী! দেশে প্রতিদিন ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। পশ্চিমবঙ্গেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ!
রাজ্য সরকারের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯,৮১৯ জন। রাজ্যে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৭৮,১৭২। একদিন মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। যার জেরে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০,৬৫২।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, হাওড়া ও শিয়ালদা শাখা মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন চালক, গার্ড ও রেলকর্মী করোনায় আক্রান্ত। ফলে অসুস্থ কর্মীদের অনুপস্থিতি সামলে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখাটাই এখন রেলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ!
পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে হাওড়া ও শিয়ালদা শাখায় ইতিমধ্যেই লোকাল ট্রেন পরিষেবায় আংশিক প্রভাব পড়েছে। গত দুদিনে এই দুই শাখা মিলিয়ে প্রায় কয়েকশো লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছে। বুধবার শিয়ালদা শাখায় ৬৬টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। একই কারণে হাওড়া শাখায় ৫৪টি ট্রেন আজ বাতিল করা হয়েছে।
করোনার জেরে গত বছরের ২৩ মার্চ থেকে প্রায় ৯ মাস যাবৎ বন্ধ ছিল রেল পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে গত বছরের মতো ফের রেল পরিষেবা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত দেশে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক স্বাভাবিক রয়েছে। এখনই রেল পরিষেবা বন্ধ করার মতো কোনও রকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
এ প্রসঙ্গে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মা আগেই জানিয়েছিলেন যে, এখনও প্রায় ৭০ শতাংশ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। এখনও পর্যন্ত কোনও রাজ্যের থেকেই ট্রেন বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়নি।
রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ট্রেন চলাচল বন্ধ হবে না। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে ট্রেনে চড়ে যাত্রার ক্ষেত্রে যাত্রীদের করোনার স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ ভাবে মেনে চলতে হবে।
রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, যাত্রীদের করোনার নির্দিষ্ট দুরত্ববিধি বজায় রাখা হবে। RAC বা কনফার্মড টিকিট থাকলে তবেই যাত্রীদের স্টেশনে আসতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
ট্রেনে বা রেল স্টেশনে কোনও যাত্রী মাস্ক না পরলে তাঁকে ৫০০ টাকা জরিমানা গুণতে হবে। মাস্ক নিয়ে এই নির্দেশ আগামী ৬ মাস কার্যকর থাকবে।