এনআরএস, আরজি কর, স্কুল অব ট্রপিক্যাল, বেলেঘাটা আইডি-সহ কলকাতা প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালেই নির্দিষ্ট সংখ্যায় সেরাম ইন্সটিটিউটে (Serum Institute of India) তৈরি এই করোনা টিকা Covishield পৌঁছে গিয়েছে আগেই।
পুলিশি নিরাপত্তায় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নজরদারিতে শনিবার সকাল থেকেই করোনার টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ রাজ্যের জন্য প্রথম দফায় প্রায় ৭ লক্ষ করোনা টিকার ডোজ পাঠানো হয়েছে, এর মধ্যে ৯৩,৫০০ ডোজ কলকাতার জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।
CoWin অ্যাপ থেকে টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে। প্রথম দফায় করোনা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা পাবেন। তার পর পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের এই টিকা দেওয়া হবে। পুরকর্মী, সাফাইকর্মী, নগরোন্নয়ন দপ্তরের কর্মীরা। এর পর টিকা দেওয়া হবে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের। পরে ধাপে ধাপে সাধারণ মানুষকেও করোনার টিকা দেওয়া হবে।
প্রথম ডোজ দেওয়ার সময় CoWin অ্যাপের মাধ্যমে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর নথিভুক্ত করা হবে। টিকার দ্বিতীয় ডোজ কবে দেওয়া হবে, তা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রতিষেধক দেওয়ার প্রক্রিয়া যাতে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন থেকেও সরাসরি দেখা যায়, সে জন্য রাজ্যের প্রতিটি কেন্দ্রে থাকছে ‘ওয়েব কাস্টিং’-এর ব্যবস্থা। টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও থাকবেন প্রতিটি প্রতিষেধক কেন্দ্রে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রথম দিনে যে ২০৮টি প্রতিষেধক কেন্দ্র থেকে করোনার টিকাকরণের প্রক্রিয়া চলবে তার প্রত্যেকটিতে ১০০ জনের নাম বাছাই করা হয়েছে। এই প্রতিষেধক কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ-সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, গ্রামীণ হাসপাতাল, আর্বান প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
প্রতিটি প্রতিষেধক কেন্দ্রে Rumor Register রাখা হচ্ছে। করোনা প্রতিষেধক সম্পর্কিত কোনও বিষয়ে কোনও গুজব ছড়ালে তা বিস্তারিত ভাবে নথিভুক্ত করা হবে ওই রেজিস্টারে। টিকা যাঁরা নিচ্ছেন, তাঁদেরও কোনও মতামত থাকলে তা লিখে রাখা হবে এই রেজিস্টারে।