চার বছর আগের ওই সিদ্ধান্তে ভারতের বাজার থেকে হারিয়ে গিয়েছে বা অচল হয়ে গিয়েছে পুরনো হলুদ ৫০০ টাকার নোট আর লাল ১০০০ টাকার নোট।
দেখতে দেখতে চার চারটে বছর পার! ২০১৬-এ এই দিনটিতেই দেশজুড়ে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এই নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে কি ফলাফল মিলেছে? এই সিদ্ধান্তের জেরে দেশের কর পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছে। একই সঙ্গে কর আদায়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়ে। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, নোটবন্দির জেরে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে। তিনি জানান, ৯০০ কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত আয় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নোটবন্দির প্রথম চার মাসের মধ্যেই।
যদিও এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীর দাবি, মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার আজ তলানিতে ঠেকেছে। দেশের কর্মসংস্থানের সুযোগও কমেছে। ফলে বেড়েছে বেকারত্ব।
তবে রাজনৈতিক দলগুলি যে ভাবেই ব্যাখ্যা করুন না কেন, দেশের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের মনে নোটবন্দির স্মৃতি এখনও উজ্জ্বল, তবে ভিন্ন কারণে। এই সিদ্ধান্তের ফলে নগদের জন্য হাহাকার, ব্যাঙ্ক আর এটিএম-এর সামনে দীর্ঘ লাইনের স্মৃতি আজও তাজা রয়েছে।