Egg Price Hike: তাপমাত্রার পারদ যত নামছে, ডিমের দাম তত বাড়ছে। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে ডিমের চাহিদাও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডিমের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছরই শীতের সময়টায় দেশের প্রায় সর্বত্র ডিমের চাহিদা আর দাম কিছুটা বাড়ে। তবে এবছর অক্টোবরের আগে থেকেই ডিমের ডাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বর্তমানে তা রেকর্ড উচ্চতা ছুঁতে চলেছে।
গত পাঁচ দিন ধরে ডিমের দাম সর্বত্র মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। ডিমের সর্বশেষ দামের পরিবর্তন হয় ৯ ডিসেম্বর। ওই দিন ডিমের দাম প্রতি পিসে ১০ পয়সা কমানো হয়। অন্যদিকে, এই পুরো মাসের কথা যদি বলি, ডিসেম্বরের ১২ দিনে ডিমের দাম আরও কিছুটা বেড়েছে।
১ ডিসেম্বর বাংলায় এক ডজন ডিমের দাম ছিল ৭০.২০ টাকা, যা এখন বেড়ে হয়েছে ৭১.৪০ টাকা। অর্থাৎ, এ ক'দিনে এ রাজ্যে ডিমের দামে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে খুচরো বাজারে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকায়। সুপার মার্কেটে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকা ২৬ পয়সায়।
ন্যাশনাল এগ কোঅর্ডিনেশন কমিটির (NECC) প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী, এ রাজ্যে এখন ১০০টা ডিমের পাইকারি দাম ৫৯৫ টাকা। অর্থাৎ, একেকটা ডিমের পাইকারি দাম এখন ৫ টাকা ৯৫ পয়সা।
ডিমের পাইকারি দাম বৃদ্ধির ফলে খোলা বাজারে খুচরো ডিমের দামও সামান্য বেড়েছে। বাজারে খুচরো ডিমের এক পিসের দাম এখন ৭ টাকা। পোল্ট্রির মুরগির ডিমের জোড়া এখন ১৪ টাকায় বিকোচ্ছে।
দাম বেড়েছে এক ট্রে (৩০টা ডিম) ডিমেরও। পাইকারি বাজারে দুদিন আগে পর্যন্ত ১৮৫-১৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া এক ট্রে পোল্ট্রির মুরগির ডিমের দাম এখন কমে ১৯৫-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরো বাজারে এই দাম আরও কিছুটা বেশি।
ন্যাশনাল এগ কোঅর্ডিনেশন কমিটির (NECC) ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, মুম্বাইতে আজ প্রতি ১০০ ডিমে ৫৮১ টাকায় ডিম বিক্রি হচ্ছে। যেখানে চেন্নাইতে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায় এবং উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, কানপুরে ৫৫৭ টাকা, রাঁচিতে ৫৯০ টাকা, পাটনায় ৬০০ টাকা, ইন্দোরে ৫৪০ টাকা, এলাহাবাদে ৫৭৬ টাকা, রায়পুরে ৫৩০ টাকা প্রতি ১০০ ডিম।