করোনার ফলে বিশ্বের অনেক দেশেরই অর্থনীতি বিপর্যস্ত! ভারতের অর্থনীতিতেও করোনা মহামারির ব্যাপক প্রভাব প্রড়েছে। গত বছরে করোনার ফলে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সংসার চালাতে পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের সঞ্চয় তলানিতে এসে ঠেকেছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দেশের বেকারত্বের হার ফের বাড়তে শুরু করেছে। নতুন বছরের প্রথম চার মাসের মধ্যে এপ্রিলে দেশের বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ ছিলই! শেষ এক সপ্তাহেই দেশের বেকারত্বের হার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এমনই তথ্য উঠে এসেছে EPFO এবং এনএসও প্রকাশিত তথ্যে।
দেশে পিএফ গ্রাহকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে নতুন পিএফ গ্রাহকের জানা গিয়েছে। এই সংখ্যা গত পাঁচ বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন। মহামারীর কারণে দেশের চাকরির বাজার কতটা বিপর্যস্ত হয়েছে, এটা তারই ইঙ্গিত।
ইপিএফও গ্রাহকদের সংখ্যা এবং সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য সরকার কর্তৃক বাধ্যতামূলক স্কিম এটা স্পষ্ট ভাবে দেখাচ্ছে যে, এক বছরে নতুন পিএফ যোগদানকারীদের সংখ্যা এবং নতুন চাকরির সংখ্যা বিগত পাঁচ বছরে কতটা কমেছে।
করোনা মহামারীর জন্য এপ্রিল, ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত দেশজুড়ে চলা লকডাউনে নতুন পিএফ গ্রাহকদের সংখ্যা ছিল ৮৫.৪৮ লাখ, যা বিগত পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন।
এর আগের বছরগুলিতে নতুন পিএফ গ্রাহকের সংখ্যা খুব বেশি ছিল। মার্চ ২০২০-এর শেষে গত অর্থবর্ষে এই সংখ্যা ছিল ১.১০ কোটি, যেখানে ২০১৯ সালে এটি ছিল ১.৩৯ কোটিরও বেশি।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসের মাসিক পরিসংখ্যানও নতুন কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রভাব স্পষ্ট ভাবে লক্ষ্যনীয়। মে মাসে, যেখানে দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চরম পর্যায়ে ছিল, তখন নতুন ইপিএফ গ্রাহকের সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় বেড়েছিল।
মে মাসে নতুন ইপিএফ গ্রাহকের সংখ্যা ৭.৬৩ লাখ ছিল, যেখানে তার আগের মাসেই এই সংখ্যাটা প্রায় ৬ লক্ষের মতো ছিল। এনএসও প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নতুন পিএফ অ্যাকাউন্টের নিরিখে গ্রাহকদের সংখ্যা জুন মাসে দ্রুত বেড়ে প্রায় ৮ লাখের উপরে উঠেছে, যা আগের মাসে মাত্র ৬ মতো ছিল।