এবার খাবারের মান, তার স্বাদ অনুযায়ী তার রেটিং-এর দেওয়া হবে, ঠিক যেমনটা হয় অনলাইন কেনাকাটায়। অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে এই ‘রেটিং’-এ অভ্যস্ত অনেকেই।
যে জিনিসের রেটিং যত ভাল, তার গ্রহণযোগ্যতা ততই বেশি। অনলাইন কেনাকাটায় এই ‘রেটিং’ ক্রেতাকে নতুন জিনিস কোর ক্ষেত্রে অনেকটাই প্রভাবিত করে।
একই ভাবে আগামী দিনে রেস্তোরাঁর খাবার থেকে দোকানের মি্ষ্টি— সবকিছুর ক্ষেত্রেই ‘রেটিং’ চালু করতে চলেছে খাদ্য সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (FSSAI)। FSSAI-কে এই উদ্যোগে সহায়তা করবে রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
ঠিক কীভাবে এই রেটিং কার্যকর হতে চলছে? রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্বোচ্চ পাঁচটি স্টার-এর মাধ্যমে কোনও রেস্তরাঁ বা মিষ্টির দোকানের খাবার বা মিষ্টির স্বাদ ও সুরক্ষার মাপকাঠি যাচাই করা হবে। এ ক্ষেত্রে কতগুলি মাপকাটি রয়েছে।
যেমন, খাবার তৈরির সময় ব্যবহৃত জল পরিশ্রুত কী না, খাবারের কাঁচামালের গুণমান, খাবার তৈরি করছেন যাঁরা, তাঁরা কতটা প্রশিক্ষিত ইত্যাদি বিষয় খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি খাদ্য সুরক্ষা দফতরের নজরদারিতে হলেও এটি জেলা ভিত্তিতে পরিচালিত হতে পারে কোনও ‘থার্ড পার্টি’র মাধ্যমে। যে সংস্থা এই খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়টি দেখবে, তার কর্মীদের গোটা বিষয়টি তদারকি করা ও আরও খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
খাদ্য সুরক্ষা দফতরের কর্তাদের মতে, এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে উপকৃত হবেন ক্রেতারা, গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান বাড়াবে রেস্তোরাঁ বা মিষ্টির দোকানগুলির। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শ’খানেক সংস্থার রেটিংয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। খাবারের রেটিংয়ের পাশাপাশি খাদ্য সুরক্ষা খাদ্য সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালানো হবে।