ছেঁড়া-ফাটা, রং লাগা, ময়লা বা লেখালিখিতে ভরা টাকা অনেকেই নিতে চান না। দোকান-বাজার ছাড়াও কোনও কোনও ব্যাঙ্কের শাখাতেও এই ধরনের নোট নিতে অস্বীকার করে।
মোটামুটি প্রায় সকলকেই এই ধরনের টাকা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বা হয়েছে। ২০০-৫০০ বা ২০০০ টাকার নোট এমন হলে বেশ নাজেহাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে।
আসলে কোন ধরনের টাকা সত্যিই ‘অচল’, এ সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই! তাই ছেঁড়া-ফাটা, রং লাগা, ময়লা বা লেখালিখিতে ভরা টাকা হাতে পড়লেই আতঙ্কে ভোগেন সাধারণ মানুষ।
ছেঁড়া-ফাটা, রং লাগা, ময়লা বা লেখালিখি থাকা কোন নোটগুলি বিনিময়যোগ্য আর কোনগুলি একেবারেই ‘অচল’, এ সম্পর্কে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) একটি সুস্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। চলুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
সাধারণ মানুষ শুধু নিজের ব্যাঙ্কেই নয়, যে কোনও ব্যাঙ্কে গিয়েই ছেঁড়া-ফাটা, রং লাগা, ময়লা বা লেখালিখিতে ভরা টাকা বদলে নিতে পারেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহক না হলেও এই ধরনের টাকা পালটে দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই ব্যাঙ্ক তাঁকে ফেরাতে পারে না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, কোনও ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকের থেকে ছেঁড়া-ফাটা, রং লাগা, ময়লা বা লেখালিখি থাকা টাকা নিতে অস্বীকার করতে পারবে না।
রং, দাগ বা লেখালিখি রয়েছে এমন টাকা যে কোনও ব্যাঙ্কে গিয়েই বদলে ফেলা যাবে এবং সমান মূল্যের নগদ অর্থ ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে RBI-এর নোট বদলের যে বিধি রয়েছে, সেই বিধি মেনেই নোট বদল করা হবে।
টাকার কোনও অংশ পুড়ে গেলে অথবা আঠা দিয়ে জোড়া থাকলে ওই নোট বদলাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে যেতে হবে। এই ধরনের টাকা বদলের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও ছেঁড়া-ফাটা, রং লাগা, ময়লা বা লেখালিখি থাকা টাকার উপরে Pay/Paid বা Reject স্ট্যাম্প থাকলে সেগুলি আর কোনও ভাবেই বদলে ফেলা যাবে না। যে সমস্ত টাকার উপর এমন স্ট্যাম্প দেওয়া থাকবে, সেগুলি কেটে বাতিল করে ফেলাই নিয়ম। অর্থাৎ, এগুলি একেবারেই অচল নোট!