Hilsa Price in Kolkata: ভরা বর্ষায় ইলিশের জোগানে খরা চলছে। প্রায় দিন কুড়ি ধরে টাটকা মাছ ঢুকছে না বাজারে। তার উপর গত শনিবার ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি জয়ে ইলিশের চাহিদা এখন তুঙ্গে!
ভিন রাজ্যের বরফ-চাপা ইলিশ চড়া দামে কিনলেও তার স্বাদে মন ভরছে না ভোজনরসিকদের। ওড়িশা-গুজরাতের থেকে আমদানি করা অপেক্ষাকৃত ‘দামি’ ইলিশ দিয়েই বাজারের চাহিদা মেটাচ্ছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
খারাপ আবহাওয়া, নিম্নচাপ আর বিপরীতমুখী স্রোতের কারণে প্রায় দিন কুড়ি ধরে জেলে-মাঝিরা মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। ফলে স্বাভাবিক কারণেই জোগানে ব্যাপক টান পড়েছে স্থানীয় টাটকা ইলিশের।
জোগানের অভাবে মাছের দাম হু হু করে বাড়ছে। হাওড়া-কলকাতার পাইকারি মাছ সরবরাহকারী আদিত মজুমদার জানান, তিন সপ্তাহ ধরে মাছ ধরা প্রায় বন্ধ। টাটকা মাছের আকালে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ শতাংশ দাম বেড়েছে ইলিশের।
মোটামুটি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ যেখানে দুই সপ্তাহ আগেও ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এখন তার দাম বেড়ে ৭৫০-৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মোটামুটি ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১,০০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া, ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশের দর এখন ১,৫০০-১,৮০০ টাকা। আর এক কেজির বেশি ওজনের মাছের দর শুরু হচ্ছে ২,০০০-২,২০০ টাকা থেকে।
মাছের গুণমান আর ওজনের ভিত্তিতে ইলিশের দামের হের ফের হচ্ছে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে। মানিকতলা, পাতিপুকুর, বালিগঞ্জ বাজারে চেয়ে লেক মার্কেট, ড়িয়াহাট, কসবা বাজারে মাছের দর বেশ কিছুটা চড়া।
হিমঘরের মাছ আর গুজরাত-ওড়িশা থেকে আমদানি করা ইলিশের ওজন সাড়ে সাতশো-আটশো গ্রামের কম নয়। এই সব মাছের দামও ৯০০-১,০০০ টাকা কেজি বা তারও বেশি। তবে এই সব ইলিশের আকার-আকৃতি চোখে পড়ার মতো হলেও এর স্বাদ তেমন ভাল নয়।