গত মাস দুয়েকে প্রায় সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রেরই দাম বেড়েছে। দিন পনেরোর মধ্যে পাইকারি ও খুচরো বাজারদর প্রায় ১৫-২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। প্যাচপ্যাচে গরমে লেবুর সরবত, ডাবের জল খেতে গেলেও তেষ্টা মিটছে না।
লেবু, ডাবের দামের ঝাঁঝে গলা জ্বলছে মধ্যবিত্তদের। কারণ, গরম বাড়তেই বেড়েছে পাতিলেবুর দাম। এখন চারটের দামে একটা পাতিলেবু কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এক মাসে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ডাবের দামও।
ফেব্রুয়ারি, মার্চেও যে ডাব ২৫-৩০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হয়েছে, তা এখন ৪৫-৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বাজারে ৩৫-৪০ টাকাতেও ডাব বিক্রি হচ্ছে, তবে সেগুলো খোলা ছাড়ানো নারকেলের মতোই ছোট। ফলে, দাম দিয়েও তেষ্টা মিটছে না।
গরম বাড়তেই পাইকারি ডাবের আড়ত থেকে হাজারে হাজারে ডাব বিহার সহ ভিনরাজ্যের চাহিদা মেটাতে রফতানি করা হয়। এতে কিছুটা বেশি দামও পাওয়া যায়।
তবে বিক্রেতাদের দাবি, এবার চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকায় দাম বাড়ছে। এ বছর ডাবের পাইকারি দর ২০-২২ টাকা পিস থেকে বেড়ে ২৬-২৮ টাকা হয়েছে।
বাড়ন্ত পাইকারি দরের প্রভাব পড়েছে ডাবের খুচরো বিক্রির দামেও। কিছুদিন আগেও এক একটা ডাব খুচরো বিক্রি হচ্ছিল ৩০-৩৫ টাকায়, এখন যার দাম ৪০-৪৫ টাকায় ঠেকেছে।
এ বছর ডাবের জোন কম কেন? নন্দকুমারের এক পাইকারি ডাব বিক্রেতা জানান, এ বছর ডাবের ফলনও বেশ কিছুটা কম হয়েছে। নারকেল গাছে ছত্রাকের হানায় ফলন সে ভাবে হয়নি। ফলে জোগানে টান পড়ছে।
বেলঘড়িয়ার এক বিক্রেতা জানান, ডাবের ফল, জোগান ছাড়াও গাড়ি করে ডাব আনার খরচ এবার অনেকটাই বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর পেট্রোল ডিজেলের দাম লিটারে প্রায় ১০-১২ টাকা বেশি। ফলে ডাবের জোগানে পরিবহণ ব্যায় বেড়েছে, দামও বেড়েছে।