অনেকদিন ধরেই মন খারাপ মাদকাসক্তদের। গত বছর করোনার প্রথম তরঙ্গে চলা দীর্ঘ লকডাউন পর্বে এ রাজ্যে এপ্রিল এবং নভেম্বর— পরপর দু’বারে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দাম বেড়েছিল মদের। ট্যাঁকে টান পড়ায় ‘বুকে পাথর’ রেখে মদ খাওয়া কমিয়েছেন অনেক সুরাপ্রেমী।
রাজ্যে মদের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে ক্রেতার সংখ্যাও কমেছে অনেকটাই। দেশে তৈরি বিলিতি মদের দাম বাড়লেও, বিক্রি কমে যাওয়ায় বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে রাজ্যের। এ দিকে চাহিদা আর বিক্রি— দু’টোই বেড়েছে দিশি বা বাংলা মদের।
তাই সামগ্রিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে এ রাজ্যে মদের বিক্রিতে নতুন কর কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। আবগারি দপ্তর সূত্রে খবর, শীঘ্রই নতুন কর কাঠামোয় ভর করে এ রাজ্যে দাম কমতে পারে দেশে তৈরি বিলিতি মদের।
আবগারি দপ্তর সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই হুইস্কি আর রমের ৭৫০ মিলিলিটার বোতলের দাম ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে! পাশাপাশি দাম বাড়তে পারে দিশি বা বাংলা মদের।
জানা গিয়েছে, আবগারি করের পুনর্বিন্যাসের ফলে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই আমদানি করা বিদেশি স্কচ, হইস্কির দামও কমতে পারে। এ দিকে প্রায় ২০ শতাংশের মতো বাড়তে পারে বাংলা মদের দাম।
সব মিলিয়ে, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে যে সব বাংলা মদের ৬০০ মিলিলিটারের দাম ১০০ টাকা, সেগুলির দাম বেড়ে ১২০ টাকা হতে পারে। পাশাপাশি সাড়ে মোটামুটি ছ’শো টাকার রমের ৭৫০ মিলিলিটার বোতলের দাম এক ধাক্কায় প্রায় ১০০ টাকা সস্তা হতে পারে।