দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এ রাজ্যেও ক্রমশ কমছে করোনা আক্রান্ত্রের সংখ্যা। তবে এর মধ্যেই নতুন করে ভয় ধরাতে শুরু করেছে ভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্ট।
রাজ্যে ট্রেন বন্ধ হতেই পণ্য পরিবহণে বাড়তি জ্বালানির দাম জুড়ে বাড়তে শুরু করেছিল শাক-সবজি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রির দাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুরগির ডিম, মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ফের বাড়তে শুরু করেছে মুরগির ডিমের দাম।
মুরগির ডিমের দাম গত সপ্তাহেও যেখানে ১০-১২ টাকা জোড়া বিক্রি হয়েছে, লকডাউনের দু’দিনেই সেই দাম কোথাও ১৪-১৫ টাকা জোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে!
কিন্তু কেন বাড়ছে মুরগির ডিমের দাম? স্থানীয় ব্যবসায়িদের কথায়, লকডাউনের জেরে মালের জোগানের বড়ই অভাব! অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি বেড়েছে উৎপাদনের খরচ। ফলে মুরগির ডিমের দামে তার প্রভাব পড়ছে।
রাজ্যের চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ ডিম উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা থেকে আমদানি করা হয়। কলকাতা শহরতলির ব্যবসায়িদের একাংশের দাবি, আমদানিকৃত ডিমের বাড়তি দাম স্থানীয় বাজারে প্রভাব ফেলছে।
সব মিলিয়ে রাজ্যে লকডাউন শুরুর দু’দিনের মধ্যেই মুরগির ডিম আর মাংসের দাম এক ধাক্কায় প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এর কারণ হিসাবে মূলত জোগানের ঘাটতিকেই দায়ি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
রাজ্যে মুরগির ডিম আর মাংসের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পিছনে যে জোগানের ঘাটতি দেখাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সে প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন (WEST BENGAL POULTRY FEDERATION)-এর সাধারণ সম্পাদক মদন মোহন মাইতি জানান, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মুরগির ডিমের জোগানে কোনও ঘাটতি হয়নি। ফলে দামের এতটা ফারাক হওয়ার কথা নয়।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিগত দু’ সপ্তাহে মুরগির ডিমের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি। ১১ টাকা জোড়ায় বিকোচ্ছে মুরগির ডিম। খুচরো বিক্রেতাদের কাছে সেই দাম বড়জোড় ১২ টাকা জোড়া হতে পারে। তবে কোনও ভাবেই তার বেশি নয়।”
মদনমোহনবাবু জানান, মঙ্গলবার রাজ্যে এক জোড়া মুরগির ডিমের দাম ১১টা। জোগানের পরিমাণের হেরফেরে এই দাম জোড়ায় বড়জোড় এক-দেড় টাকা বাড়তে পারে। অর্থাৎ, ডিমের জোড়া ১২ থেকে ১৩ টাকা হতে পারে। ১৪-১৫ টাকা জোড়ায় ডিম বিক্রি করার মতো কোনও কারণ এখনও নেই। জোগানের ঘাটতি বা উৎপাদন ব্যায় বৃদ্ধির দাবিও একেবারেই মিথ্যা।