করোনা অতিমারীর জেরে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৭০ কোটি পড়ুয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করোনা এবং লকডাউনের জেরে।
লকডাউনেও স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পঠন-পাঠন চালিয়ে যেতে অনলাইন ক্লাস বা ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল হতে হয় বিশ্বের প্রায় সব দেশকেই।
ভারতেও ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে একটু একটু করে শুরু হয় অনলাইন ক্লাস বা ডিজিটাল শিক্ষা। দেশে বাড়তে থাকে ইন্টার্নেটের ব্যবহার। শিক্ষার ক্ষেত্রেও আবশ্যিক হয়ে ওঠে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার।
কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া দেশের পড়ুয়া পক্ষে মোটেই সহজ ছিল না। অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও।
অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে ভারতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল স্কুলের ডিজিটাল শিক্ষার পরিকাঠামোর অভাব। সম্প্রতি ভারতে স্কুলের ডিজিটাল শিক্ষার পরিকাঠামো সম্পর্কিত ইউনিফাইড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন অন স্কুল এডুকেশন (UDISE)-এর প্রকাশিত তথ্য বেশ চমকে দেওয়ার মতো!
ইউনিফাইড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন অন স্কুল এডুকেশন (UDISE)-এর প্রকাশিত ওই তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মাত্র ৩৯ শতাংশ স্কুলে কম্পিউটার বা ডেক্সটপ রয়েছে আর মাত্র ২২ শতাংশ স্কুলে রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ!
দেশে অতিমারীর পরিস্থিতিতে ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতিতে জোর দিয়ে অনলাইন ক্লাসের জন্য পড়ুয়াদের সরকারি উদ্যোগে স্মার্টফোন বা ট্যাব দেওয়া হলেও মফস্বল বা গ্রামের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলেই নেই ইন্টারনেট সংযোগ। সে ক্ষেত্রে স্মার্টফোন দেশের ১৬.৬ শতাংশ স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগ পর্যন্ত নেই।
২০১৯-২০ সালের ওই রিপোর্ট বলছে, পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই উন্নত হয়েছে। তবুও ডিজিটাল শিক্ষার প্রয়োজনীয় ন্যূনতম পরিকাঠামো নেই দেশের অধিকাংশ স্কুলেই। পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পরিকাঠামোর দুর্বলতা এই সরকারি রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট।