দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি ফের ঊর্ধ্বমুখী পেট্রোল-ডিজেলের দরও! ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের ভোপালে, রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায়, জয়পুরে আর মুম্বইয়ে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে পেট্রোলের দাম।
মে মাসে মোট ১৬ বার বেড়েছে তেলের দাম। জুনেও ঊর্ধ্বমুখী তেলের দাম। তবে দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও পেট্রোল-ডিজেলের বিক্রির গ্রাফ কিন্তু ক্রমশ নিম্নমুখী!
পেট্রোল ও ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি আর দেশজুড়ে চলা লকডাউনের প্রভাবে গত মাসে অনেকটাই কমেছে তেলের বিক্রি। বিশেষ করে কমেছে ডিজেলের বিক্রি।
রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন পেট্রোল ও ডিজেলের খুচরা বিক্রেতাদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে ১৭ শতাংশ কমেছে ডিজেলের বিক্রি। বিগত পাঁচ মাসের ডিজেলের বিক্রির নিরিখে এটাই সর্বনিম্ন।
রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন পেট্রোল ও ডিজেলের খুচরা বিক্রেতাদের থেকে পাওা তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মে মাসের তুলনায় ২০২১-এর মে মাসে প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে ডিজেলের বিক্রি।
যে কোনও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে অর্থনীতির উন্নয়ন পরিমাপের সূচক ওই রাষ্ট্রের পেট্রোপণ্যের চাহিদা ও বিক্রির উপর অনেকটাই নির্ভর করে। কোনও দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি গতিও কিছুটা আন্দাজ করা যায় পেট্রোপণ্যের বিক্রি পরিমাণ থেকে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, পেট্রোপণ্যের বিক্রি কমে যাওয়া অর্থনীতির উন্নয়নের গতি কমে যাওয়ারই ইঙ্গিত বহন করে। করোনার প্রথম তরঙ্গের সময় রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রেও একই ভাবে প্রভাব পড়েছিল।
দেখা গিয়েছে, অগ্নিমূল্য রান্নার গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলি। দেশজুড়ে উজ্জ্বলা গ্যাসের ব্যবহার প্রায় বন্ধের পথে। উজ্জ্বলা গ্যাস ছেড়ে দেশের দরিদ্র মানুষ ফের কাঠ-কুটো জ্বালিয়ে পুরনো উপায়েই রান্না করছেন।
যে হারে রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে আর প্রতি সিলিন্ডারে যতটুকু ভর্তুকি মেলে, তাতে গ্যাসে রান্না করা দেশের দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের কাছে ‘দিবা স্বপ্ন’ দেখার সামিল! এই বিপুল দাম দিয়ে গ্যাস কিনতে যেখানে মধ্যবিত্তদেরই হাত পুড়ছে, সেখানে বিপিএল তালিকাভূক্ত দারিদ্র মানুষ কী করে কিনবে রান্নার গ্যাস!