রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Russia-Ukraine War) যুদ্ধের প্রভাব দুনিয়াজুড়ে অর্থনীতির উপর যে পড়বে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা ইতিমধ্যেই জোর ধাক্কা খেয়েছেন। কিন্তু যুদ্ধের প্রভাব শুধুমাত্র শেয়ারবাজারেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং আম আদমির জীবনেও পড়বে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, আসন্ন গ্রীষ্মে ফ্রিজ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র কিনতে গেলে বেশি গাঁটের কড়ি খরচ হতে পারে আপনার। বাড়তে স্মার্ট টিভির দামও।
ইউক্রেনের ভিতরে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনা। সেই সঙ্গে তামা, অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিকের মতো কাঁচমালের দামও চড়ছে বাজারে। ইউক্রেন থেকে আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
ফলে টিভি, ফ্রিজ বা এসি কেনার ইচ্ছা থাকলে এখনই কিনে ফেলতে পারেন। গোডরেজ অ্যাপ্লায়েন্স, ঊষা ইন্টানন্যাশনাল এবং টিভি নির্মাতা সংস্থা সুপারপ্লাস্ট্রোনিক্সের মতো সংস্থা বলছে, গরমে এসি, ফ্রিজ কেনার পরিকল্পনা থাকলে আগেভাগে কিনে ফেলুন। তাতে অনেকটা সস্তায় পড়বে। গোডরেজ অ্যাপ্লায়েন্সের ব্যবসায়িক প্রধান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমল নন্দীর জানান, রুশ ও ইউক্রেনের সংঘাতের প্রভাব পড়তে চলেছে বৈদ্যুতিন পণ্যের বাজারে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন সংঘাতের মাঝে অপরিশোধিত তেল, অ্যালুমিনিয়াম ও তামার দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। লোহ আকরিক ও স্টিলের দামও আকাশ ছুঁতে পারে। নন্দীর কথায়,'আমাদের কাছে কাঁচামাল পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। ফলে এখনই দাম বাড়ানোর ভাবনাচিন্তা করছি না। মার্চ মাস পর্যন্ত কম দামে কেনার সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।'
অনেকে মনে করছে, ধাতু, প্লাস্টিক ও অন্যান্য জিনিসের দাম ২৫ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ফলে নানা ধরনের বৈদ্যুতিন পণ্যের দাম গত বছরের চেয়ে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়াতে পারে সংস্থাগুলি।
কনজিউমার অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েন্স ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশনের (CEMA) বক্তব্য অনুযায়ী,'জানুয়ারিতে এক প্রস্ত দাম বেড়েছে। আর কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির জেরে চলতি ত্রৈমাসিকে আরও একবার দর বাড়তে পারে। কোভিড অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে কাঁচামালের দর বাড়তে শুরু করেছিল।'