২০২১ সালে মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) পড়েছে ১৪ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গাসাগর মেলায় বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রীদের সমাগম হতে চলেছে। গতকাল, রবিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা।
করোনা আতঙ্কের আবহে এ বারের গঙ্গাসাগর মেলার জন্য একগুচ্ছ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজ্য সরকার ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ বার এই মেলা উপলক্ষে বাড়তি ট্রেন, বাস ও নিরাপত্তার আয়োজন ছাড়াও বেশ কিছু নতুন নিয়ম কানুন আর সতর্কতামূলক আয়োজন রয়েছে যা গঙ্গাসাগর মেলায় এ বারই প্রথম! চলুন সেগুলি সম্পর্কে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা হিসাবে এ বারই প্রথম গঙ্গাসাগর মেলায় তীর্থযাত্রী, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করা হবে৷ এখানে Antigen Rapid Test-এর ব্যবস্থাও রয়েছে। এখানে আগত তীর্থযাত্রীদের এবং তাঁদের আনাগোনা সুষ্ঠ ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য নিযুক্ত ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষা করা৷
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা হিসাবে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার এবং যথাযথ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে। বায়ো মেডিকেল বর্জ্য নিষ্পত্তি করার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা হিসাবে এ বারই প্রথম গঙ্গাসাগর মেলায় তীর্থযাত্রী, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জন্য মোট ৫১৫টি শয্যা বিশিষ্ট ৬টি অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে৷ মেলা চত্তরের বিভিন্ন অংশে মোট ১০২টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে।
গঙ্গাসাগর মেলা বিভিন্ন দায়িত্বে নিযুক্ত কর্মীদের মধ্যে করোনার কোনও রকম উপসর্গ দেখা দিলে, তাঁদের কাকদ্বীপে একটি পৃথক ‘সেফ হোম’-এ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ গঙ্গাসাগর মেলায় আগত করোনা পজিটিভ রোগীদের জন্য মোট ৬৪৫টি শয্যা বিশিষ্ট একটি অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে৷