গত পড়শু দিন ওডিশার (Odisha) বালেশ্বরের ধামড়াতে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ওডিশার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলারও।
এই রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ইয়াস। পাশাপাশি নদী বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকার্য চালিয়েছে সেনা, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ দল। চলছে ত্রাণ বিতরণের কাজও। ইয়াস (Cyclone Yaas) পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলছে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।
শুক্রবারও সেই বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Office)। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় আকাশ মূলত মেঘলাই থাকবে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এ দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এখন দুর্বল হয়ে এখন ভারি নিম্নচাপে পরিনত হয়েছে। বিহার ও ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন বিস্তির্ণ অঞ্চল জুড়ে নিম্নচাপের প্রভাবে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এমনিতে কেরলের উপরে বর্ষার আগমনের স্বাভাবিক সময় ১ জুন। এটি জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসের বৃষ্টিপাতের বর্ষার সূচনা করে। কিন্তু IMD সূত্রে খবর, এ বছর কেরলে বর্ষা ঢুকছে তার আগেই।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এ বছর কেরলে বর্ষা ঢুকছে নির্ধারিত সময়ের আগে ৩১ মে। পাশাপাশি বঙ্গপোসাগরে উপরেও ধীরে ধীরে এগোবে মৌসুমি বায়ু। নিম্নচাপের প্রভাবে তার আগে থেকেই বৃষ্টি শুরু হচ্ছে বাংলায়।