চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার নতুন স্ট্রেন আগের তুলনায় অনেক বেশি সক্রামক! অধিকাংশ আক্রান্তের ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গ না থাকায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অনেকের মধ্যে।
দেশে প্রতিদিন ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। পশ্চিমবঙ্গেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি করোনার টিকাকরণ। করোনার গণটিকাকরণে অগ্রণীর ভূমিকায় বাংলা।
দেশজুড়ে যেখানে ভ্যাকসিনের ব্যাপক অপচয় কেন্দ্রের চিন্তা বাড়াচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে টিকার অপচয় রুখে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষকে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সোমবার সকালে টুইট করে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দেশজুড়ে ১৭ কোটি মানুষের করোনার টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৫২ জন করোনার টিকা নিয়েছেন।
রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই দিন পর্যন্ত রাজ্যের মোট ৯ হাজার ৯৭০ জনকে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ।
সূত্রের খবর, রাজ্যের হাতে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ করোনার টিকার ডোজ রয়েছে। সোমবার আরও ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ডোজ এ রাজ্যে আসার কথা। সব মিলিয়ে এ রাজ্যে করোনার গণটিকাকরণে গতি আসতে চলেছে।
ভোটের ফল প্রকাশের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন বিনামূল্যে রাজ্যের মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরে প্রতিশ্রুতি মতো রাজ্যের কোষাগার থেকে মোটা টাকা খরচ করে টিকা কেনার নির্দেশ দেন তিনি।
করোনা টিকার মোট ৫ লক্ষ ডোজ বরাত দেওয়া হয়েছিল ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে। এর পরই রবিবার সকালে রাজ্যে কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) ২ লক্ষ ডোজ এসে পৌঁছেছে।
আজ আরও প্রায় ৪ লক্ষ ডোজ রাজ্যে পৌঁছানোর কথা। গত ৫ মে রাজ্যে পৌঁছায় ১ লক্ষ ডোজ কোভ্যাক্সিন (Covaxin) আর ৪ লক্ষ ডোজ কোভিশিল্ড (Covishield)। করোনা টিকার ওই ৫ লক্ষ ডোজ পাঠিয়েছিল কেন্দ্র৷