
অনেকেই ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কাড়ি কাড়ি টাকা থাকুক, সেটা নিশ্চিত করতে চান। তবে মাথায় রাখতে হবে শুধু চাইলেই ধনী হওয়া যাবে না। তার জন্য কিছু সুঅভ্যাসকে করতে হবে সঙ্গী। সেই সঙ্গে একাধিক বদভ্যাসকে বিদায় জানাতে হবে। তবে মুশকিল হল, কিছু মানুষ কয়েকটি বদভ্যাসকে সঙ্গী করে জীবন কাটান। আর এমনটা তাঁরা না জেনেই করেন।
তাই এই নিবন্ধে এমন কিছু বদভ্যাস সম্পর্কে জানালাম, যেগুলি আপনাকে গরিব করে দিতে পারে। এগুলির থেকে যত দ্রুত সম্ভব দূরত্ব তৈরি করে নিন।
ইএমআই
সবার প্রথমে আপনাকে ইএমআই-এর ফাঁদ থেকে বেরতে হবে। নিজের আয়ের থেকে বেশি কোনও জিনিসই কেনা যাবে না। ব্যাস, এই কাজটা করলেই আপনার হাতে অনেকটা টাকা থাকবে। সেই টাকা জমে যাবে ব্যাঙ্কে।
উল্টো দিকে আপনি যদি ইএমআই করে জিনিস কিনতে থাকেন, তাহলে পয়সাকড়ি শেষ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে বাড়তি খরচ হবে। পাশাপাশি একটু বেশি খরচের অভ্যাসও তৈরি হতে পারে। আর সেটা কোনওভাবেই ঠিক নয়।
অত্যধিক মদ্যপান
অনেকেই প্রতিদিন নেশা করেন। আকণ্ঠ মদ না খেলে তাদের দিন কাটে না। আর এটাই জীবনকে খাদের কিনারে নিয়ে এসে দাঁড়য়ে করিয়ে দেয়। এমনকী উড়ে যেতে থাকে টাকা। তাই চেষ্টা করুন অত্যধিক মদ্যপান না করার। বরং মাঝেমধ্যে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। তাতে বড় কোনও সমস্যা হবে না।
অহেতুক শো-অফ
কিছু মানুষ শো অফে বিশ্বাসী। তারা যা আয় করেন, তার থেকে অনেক বেশি টাকা খরচা করেন শুধু লাইফস্টাইল বজায় রাখতে। আর সেটাই বিপদ ডেকে আনে। তাদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বলে আর কিছু থাকে না। তারা জীবনযুদ্ধে পিছিয়ে যেতে থাকেন। তাই এই বদভ্যাস থেকেও নিজেকে দূরে সরিয়ে আনতে হবে। চেষ্টা করতে হবে শো-অফের থেকে তফাত তৈরি করার। তাহলেই দেখবেন ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়বে। আপনাকে আর বিপদ ঘিরে ফেলতে পারবে না।
জুয়াই জীবনের শেষ
অনেকেই এক ধাক্কায় কোটিপতি হতে চান। সেই জন্য আয়ের একটা বড় অংশ জুয়া খেলে বা বেটিং অ্যাপে টাকা লাগায়। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাদের বিপদের শেষ থাকে না। গরিব হয়ে পড়েন তারা। তাই এখন থেকে এই ভুলটাও করা যাবে না।