
হাতে সবসময় টাকা না থাকতেই পারে। তখন কোনও প্রয়োজন পড়লে বা শখ মেটাতে অনেকেই পার্সোনাল লোন চান। তবে মাথায় রাখতে হবে, চাইলেই সবসময় পাওয়া যাবে না পার্সোনাল লোন। বরং কিছু ক্ষেত্রে রিজেক্ট হতে পারে লোন। তার পিছনে রয়েছে ৫ কারণ। তাই আর সময় নষ্ট না করে সেই সব ভুল সম্পর্কে জেনে নিন।
লো ক্রেডিট স্কোর
অনেকেরই ক্রেডিট স্কোর খুব খারাপ থাকে। আর সেই কারণেই ব্যাঙ্ক লোন রিজেক্ট করে দিতে পারে। তাই চেষ্টা করতে হবে ক্রেডিট স্কোর মোটামুটি ৭৫০-এর উপরে রাখার। আর চেষ্টা করুন কোনওভাবেই যেন ৭০০-এর নীচে না যায় স্কোর। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে। দেখবেন অনায়াসে লোন পাবেন।
হাই ডেবট টু ইনকাম রেশিও
যা কামাই সব ইএমআই। আর এটাই এখন ঘর ঘরের কাহিনি। যার ফলে অনেক সময়ই লোন না মিলতে পারে।
আসলে আপনার আয়ের যদি অধিকাংশই লোন ফেরত দিতে চলে যায়, তাহলে ব্যাঙ্ক নতুন করে কোনও ঋণ দিতে চায় না। আর সেটাই বিপদ বাড়ায়। তাই চেষ্টা করতে হবে লোন কম নেওয়ার। ইএমআই অ্যামাউন্ট যেন আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি না পেরিয়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করুন। ব্যাস, এই নিয়মটি মেনে চললেই খেলা ঘুরে যাবে।
অনিশ্চিত কর্মক্ষেত্রে
অনেকেরই কর্মক্ষেত্র ঠিক ঠাক নয়। তাদের কাজের কোনও নিশ্চয়তা নেই। আর সেই কারণে তাদের লোন দিতে চায় না ব্যাঙ্ক।
তাই এই বিষয়টা নিয়ে সাবধান হতে হবে। চেষ্টা করতে হবে নিজের কর্মক্ষেত্রের সমস্যা মিটিয়ে ফেলার। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে। দেখবেন আপনাকে লোন দেবে ব্যাঙ্ক। আপনাকে আর ব্যাঙ্কের কাছে যেতে হবে না।
আয় কম থাকা
পার্সোনাল লোন পাওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট আয় থাকা দরকার। তার থেকে কম আয় থাকলে কোনওভাবেই লোন মিলবে না। আর এই মিনিমাম ইনকামের বিষয়টা ব্যাঙ্ক ভেদে আলাদা হয়। তাই আয় কম থাকলে এখন থেকেই বাড়ানোর চেষ্টায় লেগে পড়ুন। তাহলেই দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ভুল তথ্য
লোন নেওয়ার আগে ব্যাঙ্ক ডকুমেন্টস ভ্যারিফাই করে। সেটা তাদের কাজ। আর ডকুমেন্টস চেক করার সময় কোথাও যদি ভুলভ্রান্তি হয়, তাহলে লোন না পেতে পারেন। তাই ব্যাঙ্ককে যে সঠিক ডকুমেন্টস দিচ্ছেন, সেটা নিশ্চিত করুন। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে।