এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে আহমেদাবাদে। গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন বিমানে। এক যাত্রী বাদে বাকি সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থলে যান মোদী। মৃতদের পরিজনদের ১ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে টাটা।
বিমান দুর্ঘটনায় যদি কোনও যাত্রীর মৃত্যু হয়, তাহলে তাঁর পরিবার কত ক্ষতিপূরণ পায় এবং কে তা দেয়, জেনে নেওয়া যাক বিমান সংস্থাগুলির জন্য কী নিয়ম?
বিমান সফর যেমন আজকের সময়ে খুবই সুবিধাজনক, তেমনই ঝুঁকিপূর্ণ। সামান্য ভুলের কারণে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, বিমান সংস্থা এবং ডিজিসিএ কিছু কঠোর নিয়ম তৈরি করেছে। যে নিয়মের মাধ্যমে জরুরি পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার আর্থিক সুবিধা পেতে পারে। অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য এই নিয়মগুলি আলাদা।
কত ক্ষতিপূরণ পাবেন?
আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে মৃত্যু বা শারীরিক আঘাতের ক্ষেত্রে, ভারতে পরিচালিত বিমান সংস্থাগুলি ১৯৯৯ সালের মন্ট্রিল কনভেনশন দ্বারা চুক্তিবদ্ধ। এটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা ভারতও স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যেক যাত্রীকে প্রায় ১.৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। এই ক্ষতিপূরণ আরও বাড়তে পারে যদি প্রমাণিত হয় যে, দুর্ঘটনাটি বিমান সংস্থার ভুলের কারণে ঘটেছে। এই ক্ষতিপূরণ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে DGCA-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি প্রায়শই অভ্যন্তরীণ রুটের জন্যও একই রকম কভারেজ প্রদান করতে পারে। এই ক্ষতিপূরণ বিমান সংস্থা এবং বীমা সংস্থা দ্বারা দেওয়া হয়।
বীমা কত?
অনেক বীমা সংস্থাই ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য কভারেজ প্রদান করে। এর মধ্যে সাধারণত ২৫ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বীমা এবং দুর্ঘটনার জেরে যদি কোনও যাত্রী শারীরিক ভাবে বিশেষ ভাবে সক্ষম হন, তাহলে তাঁরা ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে, যদি কোনও যাত্রী বীমা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর পরিবারও এই কভারেজের সুবিধা পাবে।