Advertisement

Scuba Diving Smart Watch: স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় ভয়াবহ বিপদ! স্মার্টওয়াচই প্রাণ বাঁচাল যুবকের

প্রযুক্তির দৌলতে বাঁচল প্রাণ। স্মার্টওয়াচের অ্যালার্টের জেরে স্কুবা ডাইভিং দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন মুম্বইয়ের যুবক ক্ষিতিজ জোদাপে।  সম্প্রতি পুদুচেরি উপকূলে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েছিলেন ক্ষিতিজ।

Apple Watch এর সাইরেনে প্রাণ বাঁচল যুবকের।Apple Watch এর সাইরেনে প্রাণ বাঁচল যুবকের।
Aajtak Bangla
  • মুম্বই,
  • 03 Oct 2025,
  • अपडेटेड 2:21 PM IST
  • স্মার্টওয়াচের অ্যালার্টের জেরে স্কুবা ডাইভিং দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন মুম্বইয়ের যুবক ক্ষিতিজ জোদাপে। 
  • সম্প্রতি পুদুচেরি উপকূলে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েছিলেন ক্ষিতিজ।
  • তবে তাঁর Apple Watch Ultra র এমার্জেন্সি সাইরেনই শেষমেশ তাঁকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনে।

প্রযুক্তির দৌলতে বাঁচল প্রাণ। স্মার্টওয়াচের অ্যালার্টের জেরে স্কুবা ডাইভিং দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন মুম্বইয়ের যুবক ক্ষিতিজ জোদাপে।  সম্প্রতি পুদুচেরি উপকূলে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েছিলেন ক্ষিতিজ। আর সেই সময়েই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন।  তবে তাঁর Apple Watch Ultra র এমার্জেন্সি সাইরেনই শেষমেশ তাঁকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনে।

জলে হঠাৎ বিপদ
নতুন নয়। ২০২০ সাল থেকেই ডাইভিং করছেন বছর ২৬ এর ক্ষিতিজ। কয়েক মাস আগে ৩৬ মিটার গভীরে নেমেছিলেন। সেখানেই বিপত্তি। হঠাৎ তাঁর ওয়েট বেল্ট খুলে যায়। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি দ্রুত উপরের দিকে ভেসে উঠতে শুরু করেন।

এই ওয়েট বেল্ট কী?
আসলে সমুদ্রে নামার সময় ডুবুরিরা পোশাকের সঙ্গে কিছুটা ওজন সহ একটি বেল্ট পরেন। এই বেল্টের ভার তাঁদের সহজে জলে ডুবতে সাহায্য করে। সেই বিশেষ বেল্টই হঠাৎ খুলে যায় ক্ষিতিজের। ফলে দ্রুত উপরের দিতে ভেসে উঠতে শুরু করে। 

হয় তো ভাবছেন,  উপরের দিকে ভেসে উঠলে ক্ষতি কি! সেক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, এভাবে গভীর সমুদ্র থেকে হঠাৎ ওপরে উঠলে দ্রুত জলের চাপ বদলে যায়। আর তার ফলে ফুসফুস ফুলে ফেটে যেতে পারে। তার ফল যে কী হতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।

ঠিক এই পরিস্থিতিরই মুখোমুখি হয়েছিলেন ক্ষিতিজ।

ঘড়ির সাইরেন
ক্ষিতিজ বলেন, 'ওইদিন সমুদ্র বেশ অশান্ত ছিল। জলে ৫ থেকে ১০ মিটারের বেশি দূরের কিছুই ঠাওর করা যাচ্ছিল না। হঠাৎ দেখি আমি খুব দ্রুত ওপরে ভেসে উঠতে শুরু করেছি। প্রথমটায় কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।' ঠিক তখনই তাঁর Apple Watch Ultra এ  অ্যালার্ট দেখায়। ঘড়িতে নোটিফিকেশন দেখায় যে, তিনি অত্যন্ত দ্রুত উপরে উঠছেন। এটি বিপজ্জনক। এদিকে ক্ষিতিজ সেটাও খেয়াল করেননি। এমতাবস্থায় তাঁর ঘড়িতে সাইরেন অ্যালার্ট বাজতে শুরু করে। কিন্তু অবস্থার কারণে তিনি তা মানতে পারেননি। ফলে ঘড়ির ইমার্জেন্সি সাইরেন বাজতে শুরু করে।

সাইরেন শুনতে পেয়েই ক্ষিতিজের  প্রশিক্ষক সঙ্গেসঙ্গেই ফিরে আসেন। তখন ক্ষিতিজ ইতিমধ্যেই ১০ মিটার ওপরে উঠে গিয়েছেন। কিন্তু সাইরেনের জন্যই সময়মতো তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

Advertisement

প্রাণঘাতী বিপদের থেকে রক্ষা
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এত দ্রুত উপরে উঠলে ফুসফুস বেলুনের মতো ফুলে গিয়ে ফেটে যেতে পারে। Apple Watch Ultra-র সাইরেন না থাকলে পরিস্থিতি মারাত্মক হতে পারত। ক্ষিতিজ নিজেও বলেন, 'আমি জানতামই না যে ঘড়ির মধ্যে এমন ফিচার আছে।'

টিম কুকের চিঠি
ঘটনার পর ক্ষিতিজ বিষয়টি অ্যাপল সিইও টিম কুককে চিঠি লেখেন। টিম কুক উত্তর দিয়ে জানান, 'তোমার প্রশিক্ষক সময়মতো সাহায্য করতে পেরেছেন জেনে আমি খুশি। তোমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।'

Apple Watch Ultra Siren কী ভাবে কাজ করে
Apple Watch Ultra মূলত অ্যাডভেঞ্চার ও সিকিওরিটির জন্য ডিজাইন করা। এতে সাইরেন ফিচার আছে। এই সাইরেন ১৮০ মিটার দূর থেকেও শোনা যায়। জলে ভিজে শব্দ কিছুটা কমে গেলেও শুকোতে না শুকোতেই তা ফের স্বাভাবিক জোরে বাজে। জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে এর জুড়ি মেলা ভার।

Read more!
Advertisement
Advertisement