জীবনে চলার পথে টাকা লাগেই। টাকা ছাড়া এক পা-ও এগোনো যায় না। তবে শুধু রোজগার করলেই হয় না, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তা সঞ্চয় করতেও হয়। তাই সকলেই চান পেনশনের পাকাপোক্ত ব্যবস্থা। সেই কারণে উপার্জনের কিছু অংশ সকলেই ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখেন। অনেকে বিনিয়োগ করেন। এজন্য এমন কিছু প্রকল্প রয়েছে,যেখানে বিনিয়োগ করে ভবিষ্যতে মোটা অঙ্কের পেনশন পাবেন। তেমনই ভারত সরকারের একটি জনপ্রিয় প্রকল্প হল অটল পেনশন যোজনা। যার গ্রাহক সংখ্যা ৭ কোটি ছুঁয়েছে।
কী এই প্রকল্প?
একেবারে কম টাকায় সঞ্চয় করে মাসে মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পেতে পারবেন এই প্রকল্পে। সরকার নিজেই গ্যারান্টি দেয় এই প্রকল্পে। যদি আপনি যুবক হন, তা হলে প্রতি মাসে অল্প পরিমাণ অর্থ জমা করুন। এতে বার্ধক্যকালে আপনার আর্থিক ভিত মজবুত হবে। প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা পেনশন পেতে পারেন। এই প্রকল্পে বিনিয়োগের বয়:সীমা ১৮-৪০।
সরকারের এই প্রকল্পে পেনশনের সুবিধা পেতে হলে কমপক্ষে ২০ বছর বিনিয়োগ করতে হবে। যদি আপনার ৪০ বছর বয়স হয়, এই সময় বিনিয়োগ করলে, ৬০ বছর হলে পেনশন পাবেন। ধরা যাক আপনার বয়স ১৮, তা হলে মাসে ২১০ টাকা জমা করুন। অর্থাৎ, দিনে ৭ টাকা করে। ৬০ বছর হলে মাসে ৫ হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন।
অটল পেনশন যোজনায় স্বামী-স্ত্রী, দু'জনেই মাসে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন পেতে পারেন। ৬০ বছর বয়সের আগে স্বামীর মৃত্যু হলে স্ত্রী পেনশনের সুবিধা পাবেন। স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মৃত্যু হলে নমিনি পুরো টাকা ফেরত পাবেন।
২০১৫-১৬ সালে শুরু হয়েছিল এই প্রকল্পটি। যত দিন এগিয়েছে, ততই জনপ্রিয়তা বেড়েছে এই প্রকল্পের। বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা ৭ কোটি ছুঁয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে ৫৬ লক্ষ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন।
কর ছাড়েরও সুবিধা পাবেন
এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করে কর ছাড়েরও সুবিধা পাবেন। এতে বিনিয়োগ করে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর বাঁচাতে পারবেন। এই কর সুবিধা আয়করের ধারা ৮০সি-র অধীনে দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে বয়স ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে হতে হবে। সেইসঙ্গে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। পাশাপাশি, থাকতে হবে আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা বৈধ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।