মানবদেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সরাসরি হৃদ্স্বাস্থ্য এবং রক্তসঞ্চালনের উপর প্রভাব ফেলে। রক্তে মূলত দুটি ধরণের কোলেস্টেরল থাকে—ভালো কোলেস্টেরল (HDL) এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL)। খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে ধমনিতে জমে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে, যার ফলে হৃদ্রোগ, হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক গুণ বেড়ে যায়। এই সমস্যা এড়াতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক মশলাও কার্যকর হতে পারে।
আয়ুর্বেদে এমন কয়েকটি মশলার উল্লেখ রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি আয়ুর্বেদিক মশলা সম্পর্কে—
১. হলুদ
হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন নামক একটি সক্রিয় যৌগের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি (প্রদাহ-বিরোধী) গুণ রয়েছে। এটি শরীরের কোষে সঠিকভাবে কাজ করে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
২. রসুন
রসুন বহু প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী উপাদান, যা হৃদ্স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং নিয়মিত সেবনে খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস পায়।
৩. দারুচিনি
দারুচিনিতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহনাশক উপাদান। এটি শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল জমতে দেয় না এবং হৃদ্যন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়।
৪. আদা
আদা একটি বহুগুণসম্পন্ন মশলা। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি হজমশক্তি বাড়াতে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতেও কার্যকর।
৫. মেথি
মেথি বীজে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরল শোষণে সহায়তা করে এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি বীজ জলভিজিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।