পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে এখন ইলেট্রিক স্কুটার(Electric Scooter) থেকে ই-কার সবেরই চাহিদা তুঙ্গে। কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকারগুলি যেমন ই-ভেয়িকেলে জোর দিচ্ছে, তেমনই পরিবেশ সচেতন নাগরিকরাও ঝুঁকছেন তাতে। সেই সঙ্গে পেট্রপণ্যের দামও যেভাবে বাড়ছে তাতে ই-ভেয়িকেলের চাহিদা লাফিয়ে লাফিয়ে চড়ছে। দিন কয়েক আগেই ঘোষণা হয়েছিল বাজাজের সর্বাধিক বিক্রিত চেতক স্কুটার(Chetak Scooter) এবার নতুন সাজে, নতুন রঙে আসছে ই-স্কুটি(Electric Scooter) হয়ে। কথা মতো, তা আসতেই শুরু হয়েছে বুকিং। কিন্তু আপনি কোথা থেকে বুক করতে পারবেন এই মনের মতো স্কুটিটি জানেন?
গত ১৬ জুলাই থেকে পুণে ও বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়েছে বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটির। মূলত, অ্যাপের মাধ্যমেই চলছে বুকিং। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই স্কুটির নির্দিষ্ট বুকিং ক্যাপাসিটি শেষ হয়ে যায়। চলতি মাসের শেষের দিক থেকে গ্রাহকদের হাতে পৌঁছতে শুরু করবে এই স্কুটি।
বর্তমানে পুণে ও বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি, নাগপুরেও শুরু হয়েছে বুকিং নেওয়ার কাজ। মাত্র ২০০০ টাকার বিনিময়ে এখনই বুকিং করা যাবে এই স্কুটিটি। দাম পড়বে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা।
বাজাজ অটোর এক্সিকিউটিফ ডিরেক্টর রাকেশ শর্মা জানিয়েছেন, "এই স্কুটিটি বাজারে আসার আগেই ব্যপক সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি নাগপুরের মতোই গোটা দেশে সাড়া মিলবে।"
চেতক ই-স্কুটার শুরুতে দুটি ভ্যারিয়েন্টে এসেছে। একটি প্রিমিয়ম এবং অপরটি আর্বান। সংস্থার দাবি, মাত্র ৫ ঘণ্টায় এটি পুরো চার্জ হয়ে যায়। আর ১ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ চার্জ হয়ে যাবে। একবার চার্জ দিলে আনুমানিক ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে পারবে এই স্কুটিটি। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক রাইডিং মোড এবং একটি রিভার্স মোড। এর ফলে ব্যস্ত রাস্তাতেও, অনায়াসে চালানো যাবে স্কুটিটি।
সংস্থার আরও দাবি, স্কুটিটি চুরি হলে বা দুর্ঘটনার কবলে পড়লে অ্যাপের মাধ্যমেই গোটা তথ্য মিলবে। প্রিমিয়ম ভ্যারিয়েন্টটিতে রয়েছে ইন্ডিগো মেটালিক, ভেলুটো রোসো, ব্রুকলিং ব্ল্যাক ও হ্যাজেলনাট রংয়ের স্কুটি। অন্যদিকে, আর্বানে রয়েছে দুটি মাত্র রং- সাইবার হোয়াইট ও সাইট্রাস রাশ।