হিসাব বর্হিভূত সম্পদের উপরে কড়া নজরদারি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন জায়গায় চলছে ইডি ও আয়করের হানা। উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি নগদ টাকা। কালো টাকা ধরা পড়ার নিয়মেও পরিবর্তন করেছে সরকার। ধরা পড়লেই দিতে হবে ১০০ শতাংশ জরিমানা। ব্যাঙ্কে নগদ টাকা জমা ও তোলার ক্ষেত্রেও শুরু হয়েছে নতুন নিয়ম। যে নিয়ম সাধারণ গ্রাহকদের জেনে রাখা রাখা দরকার।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী বছরে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বেশি নগদ জমা এবং তোলার ক্ষেত্রে আবশ্যিক করা হয়েছে প্যান ও আধার কার্ড। এনিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস। কী এই নিয়ম? কতটা টাকার পরিমাণ?
কোনও ব্যক্তি সারা বছরে নিজের সব অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ২০ লক্ষ টাকা জমা করতে গেলে প্যান কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। টাকা তোলার ক্ষেত্রেও লাগবে প্যান। নগদ লেনদেনে রাশ টেনে ডিজিটাল ব্যবস্থায় জোর দিতেই এই পদক্ষেপ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। ইতিমধ্যেই এই নিয়ম কার্যকর হয়ে গিয়েছে।
এখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি জমা করতে গেলে প্যান বাধ্যতামূলক। টাকা তোলার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। এতে কম পরিমাণে টাকা বারে বারে লেনদেন করছিলেন অনেকে। নতুন যে নিয়ম চালু হয়েছে তাতে সারা বছরে মোট ২০ লক্ষ টাকা প্যান ছাড়া তোলা বা জমা দেওয়া যাবে। একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলেও ২০ লক্ষ টাকার বেশি হওয়া চলবে না। এই নিয়ম শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কই নয়, বেসরকারি এবং সমবায় ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকেও ২০ লাখ তোলা-জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে মানতে হচ্ছে এই নিয়ম। লেনদেনের সময় প্যানের বদলে কোনও ব্যক্তি আধার নম্বরও দিতে পারেন।
আরও পড়ুন- টিকিট ছাড়া ট্রেনে চড়লেও বেঁচে যাবেন! খালি রেলের এই নিয়ম মানুন
আয়কর নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, প্রত্যেক ব্যক্তিকে উল্লেখিত লেনদেন করার সময় নিজের প্যান অ্যাকাউন্ট নম্বর বা আধার নম্বর দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে যাতে ওই ব্যক্তি সঠিক তথ্যই দিয়েছেন। কারও কাছে যদি প্যান না থাকে সেক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি লেনদেনের জন্য ৭দিন আগে প্যানের জন্য আবেদন করতে হবে। গত কয়েক বছর ধরে বেআইনি লেনদেন রোখার জন্য একের পর এক নিয়ম আনছে আরবিআই ও আয়কর দফতর।