Advertisement

Cost of Thali: পাতে চিকেন পড়লেই পকেটে টান, দাম বাড়ল আমিষ থালির

ফেব্রুয়ারিতে সস্তা ছিল বাড়িতে তৈরি নিরামিষ থালি। বেড়েছে আমিষ থালির দাম। ক্রিসিলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, একদিকে টমেটো ও এলপিজির দাম কমে যাওয়ায় ভেজ থালির খরচ কমেছে, অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমিষ থালির দাম বেড়েছে।

চিকেনচিকেন
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 11 Mar 2025,
  • अपडेटेड 2:48 PM IST

ফেব্রুয়ারিতে সস্তা ছিল বাড়িতে তৈরি নিরামিষ থালি। বেড়েছে আমিষ থালির দাম। ক্রিসিলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, একদিকে টমেটো ও এলপিজির দাম কমে যাওয়ায় ভেজ থালির খরচ কমেছে, অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমিষ থালির দাম বেড়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে টমেটোর দাম প্রতি কেজি ৩২ টাকা থেকে কমে ২৩ টাকা হয়, এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৯০৩ টাকা থেকে কমে ৮০৩ টাকা হয়েছে। এর প্রভাবে ফেব্রুয়ারিতে ভেজ থালির দাম কমেছে ১ শতাংশ।

নিরামিষ থালির দামের এই হ্রাস অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে সীমিত ছিল। পেঁয়াজ, আলু এবং তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কমেছে কারণ ফেব্রুয়ারিতে পেঁয়াজের দাম ১১ শতাংশ, আলুর দাম ১৬ শতাংশ এবং উদ্ভিজ্জ তেলের দাম ১৮ শতাংশ বেড়েছে।

ভেজ থালি একটু সস্তা
নন-ভেজ থালির দাম সংক্রান্ত ক্রিসিল রিপোর্ট অনুযায়ী, এর দাম বেড়েছে ৬ শতাংশ, যার প্রধান কারণ ব্রয়লার মুরগির দাম ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি।

ব্রয়লার মুরগির মূল্যবৃদ্ধি কারণ ভুট্টা ও অন্যান্য পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধি। সবজি থালির দাম কিছুটা কমলেও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের পকেটে প্রভাব ফেলছে। শুধু তাই নয়, সরবরাহ পরিস্থিতি আগামী মাসে খাদ্যের দামেও প্রভাব ফেলতে পারে।

সরকারকে জোগান নিয়ন্ত্রণে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কমানো যায়। এটি করতে ব্যর্থ হলে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হতে পারে। তবে সরকারের এই প্রচেষ্টাও এ বছর শস্য উৎপাদনের সম্ভাব্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।

গমের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব  
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী গমের উৎপাদন এ বছর ৭৯৬ মিলিয়ন টনে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় এক শতাংশ বেশি হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ফ্রান্স ও জার্মানিতে গমের উৎপাদন বাড়তে পারে, কারণ এসব এলাকায় বপনের এলাকা বাড়তে পারে।

Advertisement

তবে পূর্ব ইউরোপে খরা এবং পশ্চিম ইউরোপে অতিবৃষ্টির কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমেরিকাতেও গমের ফলন বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে, তবে শীতকালে খরার কারণে ফলন কিছুটা কমতে পারে।

একইভাবে, ২০২৪-২৫ সালে, বিশ্বব্যাপী ধান উৎপাদন ৫৪৩ মিলিয়ন টনের রেকর্ড স্তরে পৌঁছতে পারে যাতে ভারত, কম্বোডিয়া এবং মায়ানমার একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু এটাও উদ্বেগের বিষয় যে উৎপাদনের তুলনায় ব্যবহার বেশি হতে পারে।

FAO বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস বাড়িয়েছে ২৮৪২ মিলিয়ন টন। এছাড়াও, ২০২৪-২৫ সালে শস্যের মোট ব্যবহার ২৮৬.৭ কোটি টনে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুযোগের পাশাপাশি উদ্বেগও থেকে যায় এবং এর জন্য আরও ভালো কৌশল তৈরি করে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করা যেতে পারে।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement