Siliguri To Sikkim App Cab: সিকিমে গাড়িভাড়া ও গাড়ি নিয়ে হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক যুগের। অভিযোগ করলেও কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।মাঝে মধ্যে দু-একটি অভিযান ও হেল্পলাইন নম্বর দিলেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারী এক আমলা সিকিমে এসে সমস্যায় পড়েন। যার পর তিনি অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দেন। নড়েচড়ে বসে পরিবহণ দফতর। সেখান থেকে আলটিমেটাম দেওয়ার পর অবশেষে হুঁশ ফিরেছে সিকিম সরকারের।
গ্যাংটক বা সিকিমের অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য সিকিম সরকার পরিচালিত অ্যাপ ক্যাব চালু হচ্ছে। শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকেই সরাসরি এই ক্যাবে পৌঁছন সিকিমের গন্তব্যে। কম ভাড়ার এই গাড়িতে সুবিধা হবে পর্যটকদের বলে আশা সিকিম সরকারের। যদিও এ নিয়ে শিলিগুড়িতে নতুন করে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, স্থানীয় গাড়িচালকদের রুটি-রুজির প্রশ্ন তুলে। যা নিয়ে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হচ্ছে শিলিগুড়ি।
পর্যটন, গাড়ি ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, যাঁদের সবচেয়ে বেশি সিকিম নিয়ে কাজ করতে হয়, সেই সমস্ত স্টেক হোল্টারদের বাদ দিয়ে দুই রাজ্যের সরকার কোনও রকম চুক্তি করলে তা মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ক্ষোভ ও আশঙ্কা থেকে পদক্ষেপ শুরু করেছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে শিলিগুড়ির বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠন। সিকিমের শেয়ার ক্যাব নিয়ে সমতল এবং দার্জিলিং পাহাড়ে যে রুটি রুজি নিয়ে আশঙ্কা ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার গাড়ির মালিক-চালকদের বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিল হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (HHTDN)।
বাংলায় গাড়ি চালাতে গিয়ে যে সুবিধা পাচ্ছে সিকিমের গাড়ি, সিকিমেও যাতে তেমন ‘ছাড়’ পাওয়া যায়, দাবি জানিয়েছেন অনেকে। এইচএইচটিডিএনের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সিকিমের গাড়ির সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। তবে রেসিপ্রোকাল এগ্রিমেন্টের আগে যাতে আমাদের মতামত নেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়ে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরকে চিঠি দিচ্ছি আমরা। মূল বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’এইচএইচটিডিএনের ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন কমিটির তরফে জয়ন্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, সিকিম সরকারের চালু হতে চলা শেয়ার অ্যাপ ক্যাব নিয়ে সমাধানের লক্ষ্যে এদিনের বৈঠক ডাকা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত এ রাজ্যর কোনএ ট্যাক্সি নাম্বার বা প্রাইভেট গাড়ি সিকিমে গেলে নির্দিষ্ট কিছু এলাকা পর্যন্ত যেতে পারে। তারপর সেখানকার গাড়ি নিতে হয় বাধ্য়তামূলকভাবে। এ রাজ্যে তেমন কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে পুরনো চুক্তি অনুযায়ী দু'রাজ্যের গাড়িই চলতে দেওয়ার কথা। কিন্তু সিকিমে যেতে দেওয়া হয় না বলে ক্ষোভ রয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে হস্তক্ষেপের দাবি দীর্ঘদিন ধরে। এর মধ্যে আবার নতুন করে শেয়ার অ্যাপ-ক্যাব চালু হলে তা নিয়ে নতুন করে সমস্য়া পাকবে বলে মনে করছেন তাঁরা।