Advertisement

Dynamic Flexi Fare System: প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিতে আড়ুাই থেকে ৩ গুন বেশি ভাড়া লাগছে, কেন?

দীপাবলি (Diwali 2022) ও ছটপুজোয় (Chhath Puja 2022) বাড়ি যেতে হবে, কিন্তু ট্রেনে টিকিট (Train Ticket) পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘ ওয়েটিং লিস্ট রয়েছে। যেখানে ওয়েটিং লিস্টে সংক্ষিপ্ত এবং যাত্রার আগে টিকিট নিশ্চিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে, সেখানে ভাড়া অনেক বেশি।

প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিতে আড়ুাই থেকে ৩ গুন বেশি ভাড়াপ্রিমিয়াম ট্রেনগুলিতে আড়ুাই থেকে ৩ গুন বেশি ভাড়া
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লিA,
  • 20 Oct 2022,
  • अपडेटेड 2:47 PM IST
  • ডাইনামিক ফেয়ার সিস্টেম শুধুমাত্র রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্ত ট্রেনে প্রযোজ্য
  • ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে রেল ডাইনামিক ফেয়ার সিস্টেম চালু করে

দীপাবলি (Diwali 2022) ও ছটপুজোয় (Chhath Puja 2022) বাড়ি যেতে হবে, কিন্তু ট্রেনে টিকিট (Train Ticket) পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘ ওয়েটিং লিস্ট রয়েছে। যেখানে ওয়েটিং লিস্টে সংক্ষিপ্ত এবং যাত্রার আগে টিকিট নিশ্চিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে, সেখানে ভাড়া অনেক বেশি। রাজধানী (Rajdhani), শতাব্দী (Shatabdi), দুরন্ত (Duronto) এবং তেজসের (Tejas) মতো ট্রেনগুলিতে ডাইনামিক ফেয়ার সিস্টেম (Dynamic Flexi Fare System) চালু রয়েছে। ডায়নামিক ফেয়ার ব্যবস্থার কারণে যেখানে উৎসবের সময় যাত্রীদের ২ থেকে ৩ গুণ বেশি খরচ করতে হয়, অন্যদিকে রেল এর থেকে কতটা আয় করছে? দিল্লি থেকে বিহারের পাটনা যাওয়ার পূর্বা এক্সপ্রেসে থার্ড এসির ভাড়া ১,৩৫০ টাকা। কিন্তু দিল্লি থেকে পাটনাগামী রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনে থার্ড এসির ভাড়া ২,৩৭০ টাকা এবং তেজসের ভাড়া ৩,৪১৫ টাকা। অর্থাৎ এসব ট্রেনে ভাড়া অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় আড়াই থেকে তিনগুণ বেশি।

ডাইনামিক ফেয়ার সিস্টেম শুধুমাত্র রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্ত ট্রেনে প্রযোজ্য। যেহেতু এই ট্রেনগুলির কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাদের গতি অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় বেশি, তাই এই ট্রেনগুলিতে ডাইনামিক ফেয়ার সিস্টেম কার্যকর করা হয়।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে রেল ডাইনামিক ফেয়ার সিস্টেম চালু করে। শতাব্দী, রাজধানী এবং দুরন্তর মতো দেড়শোর বেশি প্রিমিয়াম ট্রেনের ক্ষেত্রে এই সিস্টেমটি প্রযোজ্য। এই ব্যবস্থার কারণে টিকিট বুকিংয়ের পাশাপাশি ভাড়াও বেড়ে যায়। যদি ট্রেনের ১০ শতাংশ টিকেট বুক করা হয়, তাহলে ভাড়া ১০ শতাংশ বাড়বে। যদি ২০ শতাংশ টিকিট বুক করা হয়, তবে ভাড়া ১০ শতাংশের বেশি হবে। অর্থাৎ, প্রতি ১০ শতাংশ টিকিট বুকিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া বাড়তে থাকে। এই চক্রটি ৫০ শতাংশ টিকিট বুক করা পর্যন্ত চলতেই থাকে। ৫০ শতাংশ টিকিট বুক হয়ে যাওয়ার পরে টিকিটের ভাড়া নির্ধারিত হয়ে যায়।

আরও পড়ুন

ধরুন যে শতাব্দীতে ট্রেনের টিকিট ১০০০ টাকা। এই ট্রেনে ১০ শতাংশ সিট বুক করার পরে, ভাড়া ১০ শতাংশ বাড়বে। এখন আপনি ১১০০ টাকার টিকিট পাবেন। একইভাবে, যদি ১০ শতাংশের বেশি আসন বুক করা হয়, তাহলে ট্রেনের টিকিটের মূল্য ১২১ টাকা বাড়বে। যদি ৫০ শতাংশ টিকিট বুক করা হয়, তাহলে ভাড়া হবে ১৪৬০ টাকা।

Advertisement

কিন্তু কেন এটা করা হল?

প্রথম যুক্তি হল যে এইগুলি প্রিমিয়াম ট্রেন, তাই তাদের মধ্যে এই সিস্টেমটি প্রয়োগ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় কারণ রেলের লোকসানে থাকে। সেই ঘাটতি মেটাতে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ১০ কিলোমিটারে রেলকে ৭৩ পয়সা খরচ করতে হয়, রেলের ক্ষতি হয় ৩৭ পয়সা। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG)-র রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ২০১৯-২০ সালে রেলের ২৬ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তাহলে কি লাভ হল?

ডাইনামিক ফেয়ার সিস্টেমের কারণে যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে। CAG তার রিপোর্টে বলেছিল যে ডাইনামিক ফেয়ার সিস্টেম-সহ ট্রেনগুলি থেকে ৫৫২ কোটি টাকা আয় করেছে রেল। তবে, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালের জুলাই মাসের মধ্যে এই ট্রেনগুলিতে ভ্রমণকারী যাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ কমেছে।

২০২০ সালে সরকার লোকসভায় জানিয়েছিল যে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্তর মতো প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিতে ২৮.৯৩ লাখ আসন খালি ছিল। সরকার জানিয়েছিল যে এই ট্রেনগুলি কখনই সম্পূর্ণ ভর্তি হয় না।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement