DL Negative Point System: দেশের ট্রাফিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবার বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক (MoRTH)। ট্র্যাফিক আইন ভাঙলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হওয়ার আশঙ্কা! মন্ত্রক পরিকল্পনা করছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে নেগেটিভ পয়েন্ট সিস্টেম চালুর, যা নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করবে।
কীভাবে কাজ করবে এই নেগেটিভ পয়েন্ট সিস্টেম?
এই পদ্ধতিতে, পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং যেভাবে হয়, ঠিক সেভাবেই প্রতি নিয়মভঙ্গের জন্য চালকের লাইসেন্সে একাধিক নেতিবাচক পয়েন্ট যুক্ত হবে। যেমন – সিগন্যাল ভাঙা, ওভারস্পিডিং, বেপরোয়া চালানো ইত্যাদি অপরাধের জন্য এই পয়েন্ট কাটা হবে। নির্ধারিত সীমার বেশি পয়েন্ট জমলেই, ওই লাইসেন্স স্থগিত অথবা বাতিল করে দেওয়া হবে।
কী কী অপরাধে পয়েন্ট কাটা হবে?
সিগন্যাল লঙ্ঘন
দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো
বেপরোয়া চালানো
ওভারলোডিং বা অতিরিক্ত যাত্রী বহন
হেলমেট/সিট বেল্ট না পরা
কত পয়েন্টে বাতিল হতে পারে লাইসেন্স?
২০১১ সালের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রস্তাব করেছিল, যদি কোনও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সে তিন বছরের মধ্যে ১২টি নেতিবাচক পয়েন্ট জমে যায়, তাহলে তার লাইসেন্স এক বছরের জন্য স্থগিত করা উচিত। যদি বারবার এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে পাঁচ বছর পর্যন্তও স্থগিত হতে পারে। যদিও বর্তমান খসড়ায় চূড়ান্ত সীমা এখনও নির্ধারিত হয়নি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নেও আসছে কড়াকড়ি
নতুন ব্যবস্থায় ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের সময় অতীতে ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙার রেকর্ড খতিয়ে দেখা হবে। নিয়মভঙ্গকারীদের আবার ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে হতে পারে। অর্থাৎ, শুধু লাইসেন্স নবায়ন নয়, প্রমাণ করতে হবে আপনি একজন দায়িত্ববান চালক।
বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ম
কম গতির ইলেকট্রিক যানবাহন (২৫ কিমি/ঘণ্টার কম গতি ও ১,৫০০ ওয়াট পর্যন্ত ক্ষমতা) চালানোর জন্যও এবার থেকে লার্নার লাইসেন্স নেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে মন্ত্রক।