ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই সমস্যার সমাধানে এবার নয়া উদ্যোগ নিল নির্বাচন কমিশন। রাহুল গান্ধী সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে দাবি করেন, কর্নাটকের আলন্দ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ডিলিট করা হয়েছে ভোট। সেই অনিয়ম নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। তারপরই তৎপর হয়ে কমিশন জানিয়েছে, নয়া একটি প্রক্রিয়া চালু করা হতে চলেছে যার মাধ্যমে ভোটারদের চিহ্নিতকরণ এবং ভুয়ো ভোটার খুব সহজেই আটকানো সম্ভব হবে।
ecinet পোর্টাল এবং অ্যাপে এই নয়া ই-সাইন বৈশিষ্ট্য চালু করল কমিশন। ই-সাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ফিচারের মাধ্যমে ভোটাররা রেজিস্ট্রেশন, নাম বাদ পড়ার মতো বিষয়গুলির ক্ষেত্রে সরাসরি আবেদন জানাতে পারবেন। নিজেদের আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা ফোন নম্বর দিয়ে অ্যাপ বা পোর্টালে গিয়ে এই আবেদন করা যাবে। প্রথমে আবেদনকারী কোনও রেজিস্ট্রেশন এবং চিহ্নিতকরণ ছাড়াই ফর্ম জমা করা যেত, সেক্ষেত্রে ভুয়ো ভোটারের আশঙ্কা থাকত। সেই সিস্টেমেই এবার বদল করা হল।
কীভাবে কাজ করবে নতুন এই সিস্টেম?
নতুন সিস্টেম শুরু হলে, যখন কোনও ব্যক্তি ecinet পোর্টালের ফর্ম ৬ (নতুন রেজিস্ট্রেশনের জন্য), ফর্ম ৭ (নাম বাদ দেওয়া) কিংবা ফর্ম ৮ (ভ্রম সংশোধন) ফিল আপ করবেন, তাঁকে ই-সাইনের মাধ্যমেই তা করতে হবে। ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ডে নাম একই থাকতে হবে আবেদনকারীর। আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক থাকতে হবে।
OTP-র মাধ্যমে যাচাই
আধার নম্বর দেওয়ার পর একটি OTP আসবে ফোনে। সম্মতি দেওয়ার পর যাচাই সম্পন্ন হবে। এই প্রক্রিয়া ভুয়ো আবেদনগুলি রুখে দেবে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কেন প্রয়োজন ছিল এই বদলের?
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রেস কনফারেন্স করে দাবি করেন, অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে কমপক্ষে ৬ হাজার ভোটারের নাম বাতিল করার প্রচেষ্টা হয়েছিল কর্নাটকে। আসল ভোটারের নাম ভাঁড়িয়ে ভুয়ো আবেদন করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। ফর্ম জমা করার জন্য প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর আদতে আসল ভোটারদের ছিলই না। অথচ তাদের নামেই ফর্ম ফিল আপ করে জমা দেওয়া হয়। এই অভিযোগের পরই তৎপরতার সঙ্গে নয়া প্রক্রিয়া শুরু করল নির্বাচন কমিশন।