প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের ২০২৪ সালের বাজেটে অটো সেক্টরের জন্য বড় কোনও ঘোষণা না হলেও, বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লিথিয়ামসহ অন্যান্য খনিজের শুল্ক কমানোর ঘোষণা করেছেন, যা ইলেকট্রিক ভেহিকল (EV) উৎপাদন শিল্পে স্বস্তি নিয়ে এসেছে।
সরকার সম্প্রতি ইলেকট্রিক মোবিলিটি প্রমোশন স্কিম (EMPS) ২০২৪-এর মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই স্কিমটি দুই মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে, যা সারা দেশে সবুজ গতিশীলতা এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন উত্পাদন বাস্তুতন্ত্রের প্রচারে সহায়ক হবে। এখন যানবাহন নির্মাতা এবং গ্রাহকরা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত এই স্কিমের সুবিধাগুলি উপভোগ করতে পারবেন।
EMPS স্কিমের সম্প্রসারণ
এই স্কিমটি ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছিল এবং প্রথমে তিন মাসের জন্য কার্যকর ছিল যা ৩১ জুলাই শেষ হওয়ার কথা ছিল। এই প্রকল্পের অধীনে ৫০০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং বাজেট বাড়িয়ে ৭৬৯.৬৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ৫,৬০,৭৮৯টি বৈদ্যুতিক গাড়ি আর্থিক সহায়তা পাবে, যার মধ্যে ৫,০০,০৮০টি ইলেকট্রিক টু-হুইলার এবং অন্যান্য ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বৈদ্যুতিক টু-হুইলারে ভর্তুকি
EMPS 2024-এ বরাদ্দকৃত ভর্তুকিযুক্ত বৈদ্যুতিক টু-হুইলারে ব্যাটারি ক্ষমতার প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা (kWh) জন্য ৫,০০০ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। বর্তমানে, ভারতীয় বাজারে বেশিরভাগ বৈদ্যুতিক দ্বি-চাকার গাড়ি বা স্কুটারে ২ কিলোওয়াট পর্যন্ত ব্যাটারি দেওয়া হয়। সেই হিসেবে গ্রাহকরা প্রতিটি স্কুটার কেনার জন্য ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পেতে সক্ষম হবেন। যাইহোক, সর্বোচ্চ ভর্তুকি ১০,০০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
FAME III এর ভবিষ্যৎ
ন্যাশনাল ইলেকট্রিক মোবিলিটি মিশন প্ল্যান (NEMMP) এর অংশ হিসেবে, ভারি শিল্প বিভাগ ২০১৫ সালে FAME ইন্ডিয়া নামে একটি স্কিম চালু করে। এর প্রথম পর্বটি ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল এবং বিভিন্ন সময়ে বাড়ানো হয়েছিল। এর পরে, ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ১০,০০০ কোটি টাকার বাজেট সহ FAME-2 প্রকল্প চালু হয়। ফেজ ২ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাহিদা বাড়ানো।
EMPS স্কিমের মেয়াদ বাড়ানোর পর FAME-এর তৃতীয় ধাপ বাস্তবায়নের বিষয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। তবে সরকারের এই পদক্ষেপ বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার উপযোগিতা বাড়িয়ে তুলবে এবং বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।