
বিপদ কখনও বলে কয়ে আসে না। এটা হঠাৎই উদয় হয়। আর সেই সময়ের জন্য আগে থেকে তৈরি থাকতে হয়। নইলে বিপদে পড়লে অন্যের কাছে হাত পাততে হয়। অথবা নিতে হয় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ। তাই বিশেষজ্ঞরা সকলকে এমার্জেন্সি ফান্ড তৈরির পরামর্শ দেন।
এখন প্রশ্ন হল, এমার্জেন্সি ফান্ড তো না হয় তৈরি হল, কিন্তু সেটা রাখবেন কোথায়? সেটা কি ব্যাঙ্কে ফেলে রাখবেন নাকি এফডি, আরডি বা মিউচুয়াল ফান্ডে করবেন ইনভেস্ট? আর সেই উত্তরটা জানতেই আমরা যোগাযোগ করেছিলাম দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং Manasi Research Foundation-এর চেয়ারম্যান মানসকুমার ঠাকুরের সঙ্গে। তাই ঝটপট তাঁর উত্তর জেনে নেওয়া যাক।
কোথায় রাখা উচিত টাকা?
যাঁদের বয়স কম, তাঁদের জন্য অনেক উপায় রয়েছে। তবে বয়স্ক মানুষেদের বেশি ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। তাঁদের ব্যাঙ্কে টাকা ফেলে রাখাই ভাল। তাহলেই যখন প্রয়োজন, তখন টাকাটা তুলে নেওয়া যাবে। এটাই হল সহজ হিসেব। এছাড়া চাইলে কম সময়ের জন্য এফডি করা যেতে পারে। সেটা প্রয়োজন পড়লে ভাঙিয়ে নিতে পারেন।
তবে যাঁদের বয়স কম তাঁরা ব্যাঙ্কে টাকা ফেলে রাখবেন না। বরং চেষ্টা করুন অন্যান্য উপায়ে এমার্জেন্সি ফান্ড থেকেও কিছুটা টাকা বের করে নেওয়ার।
কী কী করতে পারেন?
এক্ষেত্রে কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানালেন মানসবাবু-
এফডি এবং আরডি
এখন অনেকে ফিক্সড ডিপোজিটই মোবাইলের এক ক্লিকে ভেঙে ফেলা যায়। আর এখানে বিনিয়োগ রাখলে যেমন সুদ পাবেন, ঠিক তেমনই প্রয়োজনে সেটা তুলে নিতেও পারেন। তাই এটা হতে পারে প্রথম পছন্দ।
এছাড়া কেউ চাইলে রেকারিং ডিপোজিটেও টাকা জমাতে পারেন। তাতেও সুদ মিলবে। এছাড়া এখন কিছু রেকারিং ডিপোজিট বেরিয়ে গিয়েছে, যেগুলিও সঙ্গে সঙ্গে ভাঙিয়ে নেওয়া যায়। তাই চিন্তা নেই।
স্টকে লাগানো যেতে পারেন
মানসবাবু বলেন, 'অনেকেই স্টক সম্পর্কে খুব ভাল জানেন। এই নিয়ে পড়াশোনা রয়েছে। তাঁরা চাইলে স্টকে লাগাতে পারেন টাকা। প্রয়োজন পড়লে টাকাটা যখন খুশি ভাঙিয়ে নিতে পারেন।'
তবে যাঁরা স্টক মার্কেট সম্পর্কে কিছুই জানেন না, তাঁরা অবশ্যই এর ধারে কাছে যাবেন না। তাতে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়বে।
মিউচুয়াল ফান্ডে লাগবে সময়
আপনি চাইলে মিউচুয়াল ফান্ডে এমার্জেন্সি ফান্ড রাখতেই পারেন। তাতে রিটার্নও পাবেন। তবে এক্ষেত্রে টাকা তোলার সময় সঙ্গে সঙ্গে পাবেন না। ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে। তাই এর থেকে দূরে থাকার পরামর্শই দিলেন মানসবাবু।