বিশ্বের বৃহত্তম রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ভারতীয় রেল (Indian Railways)। দেশের কয়েক কোটি মানুষ এই পরিষেবার উপর নির্ভরশীল। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, ভারতীয় রেলের বিস্তার দৈত্যাকার। এই রেলযোগাযোগ কিন্তু শুধু দেশের মধ্যেই আটকে নেই। ভারতীয় রেল যায় বিদেশেও। একাধিক প্রতিবেশী দেশে যায় ভারতীয় রেল।
আপনি যদি ট্রেনে চড়ে বিদেশ যেতে চান, তাহলে টিকিট কাটার আগে কিছু নিয়ম জানতে হবে। বুকিংয়ের নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন পরিষেবা
মৈত্রী এক্সপ্রেস: এই ট্রেনটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। কলকাতা থেকে ঢাকার মধ্যে চলে এই ট্রেন। ৯ ঘণ্টায় ৩৭৫ কিলোমিটার দূরত্ব যায়। যমুনা ও পদ্মা নদী পেরোয় এই ট্রেন।
বন্ধন এক্সপ্রেস: ২০১৭ সালে এই ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয়। কলকাতা থেকে বাংলাদেশের খুলনা যায় ট্রেনটি। অতীতে ট্রেনটি চলত। কিন্তু ১৯৬৫ সালে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মিতালি এক্সপ্রেস: এই ট্রেনটি জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি থেকে ঢাকা যায়। সপ্তাহে একদিন চলে ট্রেনটি। মোট ৫১৩ কিমি পথ অতিক্রম করে।
বাংলাদেশ যেতে গেলে এই ট্রেনগুলির টিকিট কাটতে পাসপোর্ট ও ভিসা আবশ্যিক। স্টেশনে গিয়েই টিকিট কাটতে পারেন। কিছু নথি চেক করার পরে ট্রেনে ওঠার অনুমতি মেলে।
ভারত-পাকিস্তান ট্রেন
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দুটি ট্রেন চলে। একটি হল সমঝোতা এক্সপ্রেস ও অপরটি থর এক্সপ্রেস। সমঝোতা এক্সপ্রেস সপ্তাহে দুদিন দিল্লি থেকে ছাড়ে। লাহোর যায়। থর এক্সপ্রেস রাজস্থানের যোধপুর থেকে ছেড়ে করাচি যায়। বর্তমানে এই ট্রেনের পরিষেবাই স্থগিত। এই ট্রেনে সফর করতে হলে পাসপোর্ট ও ভিসা আবশ্যিক। ২০১৯ সালের ৯ অগাস্ট থেকে এই দুটি ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ভারত-নেপাল ট্রেন পরিষেবা
ভারত ও নেপালের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে ২০২২ সালের ২ এপ্রিল থেকে। ভারত ও নেপালের আন্তঃসীমান্ত জয়নগর - বিজলপুরা - বারদিবাস রেললাইনের কুর্থা থেকে বিজলপুরা পর্যন্ত রেল সেকশন চালু হয়েছে। এই ট্রেনটি মোট ৬৯.৮ কিমি পথ অতিক্রম করে। ট্রেনে চড়ে নেপাল যেতে হলে পাসপোর্ট প্রয়োজন নেই। স্টেশনেই গিয়েই টিকিট কাটতে পারেন।