Hilsa Price in Kolkata: শীঘ্রই ইলিশের ব্যাপক ঘাটতি পূরণ হতে চলেছে। পাশাপাশি, সেরা স্বাদের ‘রুপোলি শস্য’ পাতে পেতে চলেছেন এ রাজ্যের ভোজনরসিকরা। কারণ, চলতি সপ্তাহেই হয়তো সীমান্ত পেরিয়ে এ রাজ্যের বাজারে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশের ইলিশ! এমনটাই জানাচ্ছেন, হাওড়া-কলকাতার পাইকারি মাছ সরবরাহকারী আদিত মজুমদার।
আদিতবাবু জানান, সব ঠিকঠাক চললে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে হাওড়া-কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য বাজারে পৌঁছে যাবে ‘রূপে-স্বাদে’ অনন্য বাংলাদেশী ইলিশ। এই ইলিশ এপার বাংলার বাজারে পৌঁছালেই বেশ কিছুটা কমবে ওড়িশা-গুজরাত থেকে আসা মাছের দাম, স্থানীয় মাছের দামও তখন অনেকটাই সস্তা হবে বলে আশা করছেন আদিত মজুমদার।
প্রায় মাস খানেক ধরে খারা চলছে ইলিশের জোগানে। টাটকা ইলিশের ব্যাপক ঘাটতিতে মাছের দাম এখন আকাশছোঁয়া! বাজারে ইলিশ মিললেও তা হীমঘরের বরফচাপা বাসি মাছ, নয়তো ওড়িয়া-গুজরাতি কম স্বাদু মাছ। ফলে ভরা বর্ষায় ইলিশের স্বাদ পেতে এখনও মোটা টাকা খসাতে হচ্ছে আম বাঙালিকে।
বালিগঞ্জের মাছ ব্যবসায়ী মুকুল সরকার জানান, হিমঘরের মাছ আর ওড়িশা-গুজরাত থেকে আসা ইলিশের ওজন সাড়ে ৮০০-৯০০ গ্রামের কম নয়। এই সব মাছের দামও ১,২৫০-১,৪০০ টাকা কেজি বা তারও বেশি। এছাড়া, এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের দাম শুরু হচ্ছে কেজিতে ১,৬০০-১,৮০০ টাকা থেকে। ফলে বাজারে ইলিশ থাকলেও তার তেমন বিক্রি নেই। তাছাড়া, এই সব ইলিশের আকার-আকৃতি বেশ নজরকাড়া হলেও এর স্বাদ তেমন খোলতাই নয়। এক কথায়, বেশি টাকা খরচ করেও ‘দুধের স্বাদ ঘোলে’ মেটাতে বাধ্য হচ্ছেন বাংলার ভোজনরসিকরা।
মানিকতলা, পাতিপুকুর, বালিগঞ্জ বাজারে বেশ ভালই আছে ইলিশের জোগান। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইলিশ এখনও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে থেকেই গিয়েছে। তবে এবার বাঙালির হাপিত্যেশ করার দিন ফুরতে চলেছে। কারণ, শিঘ্রই হাওড়া-কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য বাজারে আসতে চলেছে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী ইলিশ। ফলে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই হয়তো বেশ কিছুটা সস্তা হয়ে যাবে ‘রুপোলি শস্য’র দাম। এমনটাই আশা করছেন ইলিশের ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই।