Advertisement

Gold And Silver Rate: সোনা ও রুপো কি এবার সস্তা? বিশ্বের বাজার থেকে এল সুখবর

বিশ্বের বাজারে সোনা এবং রুপোর দাম পড়েছে। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর কি কমে যেতে পারে ভারতের বাজারে সোনার দাম? রইল বিস্তারিত ব্যাখ্যা।

সোনা ও রুপোর দাম সোনা ও রুপোর দাম
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 22 Oct 2025,
  • अपडेटेड 2:34 PM IST
  • বিশ্বের বাজারে সোনা এবং রুপোর দামে ধস
  • সেক্ষেত্রে ভারতের বাজারে দর পড়বে?
  • বৃহস্পতিবার কী থাকবে দাম?

এই মাসে সোনা ও রুপোর দামে টানা উত্থান নয়া রেকর্ড গড়েছে। কিন্তু এখন দাম কিছুটা হলেও কমেছে। বিশ্ব বাজারে বুধবার সোনার দাম ২.৯% পর্যন্ত নেমে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিনই সোনার দাম ৬.৩% পর্যন্ত পতনের মুখে পড়েছিল। যা গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন।

রুপোর দামও ২% থেকেও বেশি কমে প্রায় ৪৭.৬ ডলারে নেমেছে আগের দিনের ৭.১% পতনের পর। এই আকস্মিক পতনের মূল কারণ মুনাফা তুলে নেওয়া। দীর্ঘদিনের রেকর্ডব্রেকিং বৃদ্ধি শেষে বিনিয়োগকারীরা লাভ নিশ্চিত করতে বিক্রি করছেন।

কেসিএম ট্রেডের প্রধান বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার ব্লুমবার্গ নিউজকে বলেন, 'মুনাফা তোলার প্রবণতা বর্তমানে বাড়ছে। সোনার এমন রেকর্ড দাম আগে কখনও দেখা যায়নি। আর এতেই ট্রেডারদের জন্য লাভ তুলে নেওয়ার প্রলোভন অনেক বেড়ে গিয়েছে।'

ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য সময়টা কিছুটা অস্বস্তিকর, কারণ দীপাবলি উপলক্ষে মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (MCX) বন্ধ রয়েছে। ফলে বিশ্ব বাজারে দেখা দেওয়া এই বিক্রির প্রভাব এখনও দেশীয় বাজারে প্রতিফলিত হয়নি। ২৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার যখন লেনদেন পুনরায় শুরু হবে, তখন সোনা ও রুপোর ফিউচার্স নিম্নমুখীভাবে খোলার সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমানে এমসিএক্সে ডিসেম্বর ডেলিভারির সোনার ফিউচার্সের দাম প্রতি ১০ গ্রামে ১ লক্ষ ২৮ হাজার, যা আগের দিনের তুলনায় ২৭১ টাকা বা ০.২১% কম। রুপোর ফিউচার্স প্রতি কিলোগ্রামে ১ লক্ষ ৫০ হাজার যা ৩২৭ টাকা বা ০.২২% হ্রাস পেয়েছে। এই পতন এসেছে এমন এক রেকর্ডের পর, যেখানে সোমবার সোনার দাম প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ৩৮১.২১ ডলার স্পর্শ করেছিল। এ বছর প্রায় ৫৬% বৃদ্ধি পেয়েছে সোনার দাম, যা মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয়, বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বড় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা দ্বারা চালিত।

এরপর কী হতে পারে সোনা ও রুপোর বাজারে?

Advertisement

বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক এই পতন মূলত ট্রেডারদের মনোযোগ ম্যাক্রোইকোনমিক সূচকের দিকে সরিয়ে নেওয়ার ফল। বিশেষ করে ব্রিটেনের মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক নীতির আপডেট এখন বাজারের কেন্দ্রে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যও প্রভাব ফেলেছে; তিনি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ায় বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ে উদ্বেগ কিছুটা কমেছে।

বিনিয়োগকারীরা এখন সেপ্টেম্বর মাসের মার্কিন কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছেন, যা বর্তমান সরকারি শাটডাউনের কারণে বিলম্বিত হয়েছে। এই তথ্য মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা এবং ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী সুদের হার সিদ্ধান্তে ইঙ্গিত দেবে। অনেকেই আশা করছেন আগামী সপ্তাহে এবং ডিসেম্বর মাসে ফেড আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে হার কমাতে পারে।

স্বল্পমেয়াদি পতন সত্ত্বেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মধ্যমেয়াদে সোনা ও রুপা স্থিতিশীল থাকতে পারে। এর পিছনে রয়েছে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির ক্রয়, এবং দুর্বল ডলারের প্রত্যাশা।

গত কয়েক মাসের দ্রুত মূল্যবৃদ্ধির পর এ ধরনের সংশোধন স্বাভাবিক বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। এছাড়া ধনতেরাস ও দীপাবলির মতো উৎসব মৌসুমে ফিজিক্যাল চাহিদা বাজারকে কিছুটা স্থিতিশীল রাখছে। তবে উৎসব শেষ হলে যদি বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা বাড়ে বা মুদ্রাস্ফীতির তথ্য সুদের হার কমানোর গতি শ্লথ হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, তাহলে দাম কিছুটা কমতে পারে।

ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য আগামীকালকের সেশনটি গুরুত্বপূর্ণ হবে। সোনা ও রুপো হয়তো এই বছরের meteoric উত্থান অব্যাহত রাখতে পারবে না, তবে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিগুলি যেমন ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদা এবং নিম্ন সুদের হারের প্রত্যাশা এখনও অটুট।

যারা সোনা ধরে রেখেছেন, তাদের স্বল্পমেয়াদী ক্ষতির জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। তবে যাদের বিনিয়োগ কৌশল পরিষ্কার, তাদের জন্য এই পতন নতুন ক্রয়ের সুযোগও এনে দিতে পারে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement