Gold Price Drop: সপ্তাহের শুরুতেই সোনার দামে বড়সড় পতন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে আচমকাই ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম নেমে এল প্রায় ৯৩,০০০ টাকায়। গত মাসে এই দাম ছিল ১ লক্ষ টাকার উপরে। সোনা কেনার পরিকল্পনা থাকলে এখনই সঠিক সময় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শেয়ার বাজার চাঙ্গা হতেই সোনার দাম পড়ল একধাক্কায়
একদিকে শেয়ার বাজারে তীব্র উত্থান, অন্যদিকে সোনার দামে বড় পতন। সোমবার সেনসেক্স ২,৯৭৫.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ৮২,৪২৯.৯০-তে বন্ধ হয়েছে। নিফটি ৯১৬.৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ২৪,৯২৪.৭০।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি এবং আমেরিকা-চিনের মধ্যে ট্যারিফ চুক্তির ঘোষণার পর বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। যার প্রভাব শেয়ার বাজারে খুব স্পষ্টভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সোনা ছেড়ে ফের ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের দিয়ে এগোচ্ছেন ইনভেস্টররা।
সন্ধ্যায় সোনার দামে পড় পতন
সোমবার সন্ধ্যা ৫টার দিকে ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম কমে আসে প্রায় ₹৯৩,০০০-এ। যেখানে শুক্রবার এই দাম ছিল ₹৯৬,৪০০। অর্থাৎ একদিনে সোনার দাম কমেছে প্রায় ₹৩,৪০০। গত কয়েক মাসের ট্রেন্ডের নিরিখে এটি এককথায় অবিশ্বাস্য।
আন্তর্জাতিক বাজারেও পতন
COMEX-এ সোনার দাম পড়েছে ১.১৩ শতাংশ। প্রতি আউন্স সোনার দাম নেমে এসেছে $২,৫৫৭.৪০-এ, যা গত দু’মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ট্যারিফ বিতর্কের অবসানেই ধস
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগের মাসগুলোতে যেসব ট্যারিফ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা বিশ্ব বাজারে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে এখন মার্কিন প্রশাসনের মনোভাব অনেকটাই বদলেছে।
বিশেষ করে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে ট্যারিফ নিয়ে মতৈক্য তৈরি হয়েছে। ফলে সোনার দামে পতন দেখা যাচ্ছে। আগে যখন এই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছিল, তখনই প্রতিদিন সোনার নতুন দাম দেখা যেত।
চিনে কমেছে চাহিদা, ভারতে বিয়ের মরসুমেও কেনা কম
চিনের মতো বড় ক্রেতা দেশে ছুটির কারণে সোনার চাহিদা কমেছে। ভারতে বিয়ের মরসুম চললেও দাম কমার কারণে অনেকে কিনতে দেরি করছেন। এর ফলে চাহিদা কমেছে।
ট্যারিফে ছাড় দিচ্ছে আমেরিকা-চিন
দু’দেশের মধ্যে নতুন চুক্তি অনুযায়ী, আমেরিকা চিনের পণ্যের উপর ট্যারিফ ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশে এনেছে। চিনও আমেরিকার পণ্যে ট্যারিফ ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করেছে। ফলে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে।
গ্লোবাল ইকনমিতে আশার আলো, পড়ছে সোনার দাম
গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে এখন চাঙ্গা ভাব। ফলে সোনার উপর চাহিদা কমছে। কারণ আন্তর্জাতিক অস্থিরতার সময় সাধারণত সোনার দামে উত্থান দেখা যায়।
ডলার শক্তিশালী, সোনা দুর্বল
আমেরিকান ডলার ইনডেক্স ১০০-এর ওপরে পৌঁছেছে, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডলার শক্তিশালী হলে সোনার দাম সাধারণত পড়ে। কারণ সোনার দাম ডলারে নির্ধারিত হয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দাম আরও কমতে পারে
MCX এবং ঘরোয়া বাজারে সোনার বিক্রি বেড়েছে। ফলে দাম আরও কমছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে সংকট না আসে, তাহলে সোনার দাম ₹৯০,০০০-র নিচেও যেতে পারে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে গ্লোবাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর।