সোনার বাজারে যেন আগুন লেগেছে! এক দিনের ব্যবধানে প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট পাকা সোনার দাম বেড়েছে ১,০০০ টাকা। মঙ্গলবার তা দাঁড়িয়েছে ৯৭,৩০০ টাকা। জিএসটি-সহ গ্রাহকের পকেট থেকে বেরোচ্ছে ১,০০,২১৯ টাকা। খালি পাকা সোনাই নয়, গয়নার সোনাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে— কর ছাড়া ৯২,৪৫০ টাকা, কর-সহ প্রায় ৯৫,২২৩ টাকা।
গত এক সপ্তাহেই খুচরো সোনার দাম বেড়েছে ৩,০০০ টাকা। এক মাসে ৮,৪৫০ টাকা এবং এক বছরে বেড়েছে ২৩,৪০০ টাকা! ফলে স্বাভাবিকভাবেই দামি সোনায় ছেঁকা খেয়ে মুখ ফিরিয়েছেন অনেক ক্রেতা। বিয়ের মরসুম শুরু হলেও বউবাজারে দেখা মিলছে না সেই চেনা ভিড়ের।
'স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও' কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে বললেন, 'ক্রেতারা এখন ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ মুডে রয়েছেন। তাঁরা অপেক্ষা করছেন কখন দাম একটু নামবে। কিন্তু দাম কমার সম্ভাবনা। বরং পরিস্থিতি যদি এমনই থাকে, তাহলে গয়না তৈরির বরাত কমবে, ফলে কাজ হারাতে পারেন বহু সোনার কারিগর।'
দামের এই ঊর্ধ্বগতির পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক কারণ। বাবলু দে বলেন, 'ডলারের দাম পড়ছে, ফলে ইনভেস্টররা সোনা কিনছেন। ফলে সোনার চাহিদা বাড়ছে, দামও বাড়ছে।'
সমাধান কী? বাবলু দে একটি বড় সমাধানের কথা বলছেন— ইএমআই-তে সোনা কেনার সুযোগ। 'দুবাই, মালয়েশিয়ার মতো দেশে EMI-তে সোনা কেনা যায়। ভারতে যদি এমন ব্যবস্থা চালু হয়, তাহলে সাধারণ মানুষও সোনা কিনতে পারবেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছি।'
জানা যাচ্ছে, সোনার দাম এক বছরে বেড়েছে ২৩,৪০০ টাকা। বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। বিয়ের মরসুমেও বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। EMI চালুর দাবি উঠেছে শিল্প মহল থেকে। পরিস্থিতি না বদলালে সোনার কারিগররা কাজ হারাতে পারেন বলেও আশঙ্কা রয়েছে।